পাটগ্রামে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার- স্বামীসহ শ্বশুর-শ্বাশুড়ি পলাতক
ঈশাত জামান মুন্না,লালমনিরহাট শনিবার সন্ধ্যা ০৬:৫৯, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
জেলার পাটগ্রাম উপজেলার কদুর বাজার নামক গ্রামে লাকী বেগম(৩৮) গৃহবধূর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
আজ শনিবার লাশের পোষ্টমর্ডেম শেষে পারিবারিক স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনাকে নিহতের বাবা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নিহত চার সন্তানের জননী লাকি বেগম (৩৮) কদুর বাজার গ্রামের তবিবর রহমানের পুত্র রাজমিস্ত্রি শাহিনের স্ত্রী। নিহতের বাবা ও মা দাবি করেছে, স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজন মিলে নির্যাতন চালিয়ে লাকিকে হত্যা করে। পর হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে মরদেহ ঘরের ধর্নায় ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। শুক্রবার ৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ নিজ ঘরের শয়ন কক্ষের ঘরের ধর্রনায় ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। প্রায় ১৮ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে লাকির সাথে বিয়ে হয়েছিল শাহিনের।
নিহতের বাবা আফতাব হোসেন ও মা মালেকা অভিযোগ করে, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের কারণে মেয়েকে মারপিট করতো স্বামী শাহিন। এই নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়ে ছিল। মেয়ের সুখের জন্য কয়েক দফা সাধ্যমত যৌতুক দিয়ে ছিল। কিন্তু নির্যাতন থেমে থাকেনি। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দুই মাস আগে বাবার বাড়িতে চলে এসেছিল মেয়ে লাকি বেগম। কয়েক দিন আগে স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য সালিশ মিমাংসায় লাকি বেগম তার স্বামীর বাড়িতে ফিরে যায়। গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার পরিবারে ঝগড়ার জের ধরে লাকির ওপর নির্যাতন করে স্বামী ও স্বামীর স্বজনরা। এতে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে লাশ ঝুলিয়ে রেখে তারা পালিয়ে যায়।
পাটগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাফিজুল ইসলাম হাফিজ বলেন, থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে। তবে নিহতের বাবা হত্যাকান্ডের অভিযোগ দিয়েছে। ময়নাতদন্ত ও ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যা না আত্নহত্যা ঘটনাটি জানা যাবে। রির্পোট এলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।