নাগরপুরে ইট খোলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান
মো:শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল মঙ্গলবার রাত ১০:৩৫, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইট খোলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
এসময় ইট খোলার মালিকদের জরিমানা ও চিমনি ধ্বংস করে এ আদালত।
১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মোট ৬টি ইট ভাটায় চলে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এর মধ্যে ৩টি ইট ভাটা মালিককে মোট ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ২টি ইট ভাটার কার্যক্রম বন্ধ থাকায়, ইট খোলায় কাঁচা ইট ধ্বংস করে তাদেরকে ইট ভাটা পরিচালনা করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়। এছাড়াও চলমান ১টি ইট ভাটা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে আল আমিন ব্রিকসকে নগদ ৫ লাখ টাকা, এস কে এস ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, প্যাসেফিক ব্রিকসকে ৫ লাখ টাকা জরিমান করে এ ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় মুক্তিযোদ্ধা ব্রিকসের চিমনি ধ্বংস করে দেয় এ ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ভ্রাম্যমাণ আদালতটি ঢাকা বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার পরিচালনা করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর টাঙ্গাইলের এডি তাপস চন্দ্র পাল, বিপ্লব কুমার সূত্রধর, নাগরপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের নমুনা সংগ্রহকারী মো. মিনহাজ উদ্দিন সহ থানা পুলিশের একটি দল ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার বলেন, এটি আমাদের চলমান দায়িত্ব। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া, অবৈধ ইট ভাটা, ইট প্রস্তুতের জন্য মাটি ব্যবহারে ডিসি অফিসের অনুমতি ব্যতিত ইট ভাটা গুলোতে আমাদের আজকের এ অভিযান। আমরা ইট প্রস্তুত ও ইট ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ এর সংশোধিত ২০১৯ এর ১৪,১৫,১৬ ও ১৭ ধারায় তাদের জরিমানা করেছি। এবং ১টি ইট ভাটার চিমনি ধ্বংস করা হয়েছে। সময় স্বল্পতার জন্য আজকে সবগুলো ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হলোনা। তবে আগামীতে বাকিগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।