দুর্বিপাকের ধ্বনি শুনতে পাই…
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার সোমবার রাত ০৮:১৬, ২৮ অক্টোবর, ২০২৪
দুর্বিপাকের ধ্বনি শুনতে পাই…
ধেয়ে আসছে এক কালো আঁধার শুনিতে কী পাও? পাথরের বুকে দাঁড়িয়ে পাথরের কান্না দেখো, শুনেছি কী মানুষের আর্তনাদ?
“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। ” ক্ষণজন্মা কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের এই চরণের আয়নায় পরখ করে দেখি এই আয়নায় দেশের সাধারণ মানুষের হাহাকার চিত্র ভেসে ওঠছে।
বাজার গেলে বুঝা যায় পণ্যদ্রব্যের আকাশচুম্বী মূল্যের প্রতিযোগিতা চলছে। অর্থনীতির ভাষায় এই লড়াই বা প্রতিযোগিতার নাম অর্থনৈতিক মন্দা বা ভয়াল দুর্ভিক্ষের আভাস।
আরেকটা বিপ্লব চলতেছে। এই বিপ্লবের ধ্বনি কেবল আমার মত গরীররা টের পাচ্ছেন!
কিন্তু এই বিপ্লব কেউ কী আমলে নিচ্ছেন? কেউ নিচ্ছেন না।
নিলেও গা ছাড়া ভাব।
এটা( এই বিপ্লবটা) হলো লালন ফকিরের ভাষায়— রাত পোহালে পাখি বলে দে রে খাই, দে রে খাই!”
এক সময় এক শাসকদের মসনদ তছনছ করেছিলেন কবি রফিক আজাদ এই পেটের বিপ্লবের আকুতি লিখে তিনি লিখেছিলেন —” ভাত দে হারামজাদা!
না হয় মানচিত্র চিবিয়ে খাব।”
অতএব, মানচিত্র খাওয়ার আগেই
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত খুব দ্রুত ব্যবসায়ী সংগঠন নিয়ে বসে সুরাহা করা, আকাশচুম্বী ভোগপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা। সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, বাজারজাত করার কারসাজি রুখে দেওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। তা না হলে মার্কিন মুলুকের ফ্লোরিডায় যে মিল্টন সম্প্রতি আঘাত হেনে শহরটাকে তছনছ করে দিয়েছে ; অর্থনৈতিক মন্দার এই বিপ্লবের আঘাত এর চেয়ে কম হবে না। মানুষের মুখে ও পেটের দিকে তাকান।
মাননীয় উপদেষ্টামন্ডলী!
খুব দ্রুতই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে পাশাপাশি মহাসড়কসহ শহরের অসহনীয় যানজট নিরসনে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে হবে।
দ্রব্যদমূল্যর লাগাম টেনে ধরুন। আপনারা মিনমিন করে না বলে আওয়াজ ওঠিয়ে হুংকার দিয়ে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দমন করুন। দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করুন। মানুষ বিপ্লবের সময়টাকে একটা দুর্যোগ পরবর্তী সময় মেনে নিয়েই যথেষ্ট ধৈর্য ধারণ করেছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো বা এই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে।
তাই সময়ের মূল্য দিন। নচেৎ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে পারে। তখন নিয়ন্ত্রণ নিতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হবে।
লেখক : হোসাইন মোহাম্মদ দিদার
কবি ও সাংবাদিক