চালের দর বাড়ানোর সুযোগ নেই -খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
নিজস্ব প্রতিনিধি শুক্রবার রাত ০৯:০৩, ২২ নভেম্বর, ২০১৯
আবু ইউসুফ, নওগাঁ প্রতিনিধি: দেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী খাদ্য মজুত আছে; স্থিতিশীল আছে চালের বাজার দর। সিন্ডিকেট করে দর বাড়ানোর সুযোগ নেই। গুজব ছড়িয়ে বাজার দর অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করলে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলার তেতুলিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন- বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ খাদ্য সশ্যে স্বংসর্ম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। চলতি মওসুমে আমনের ফলনও ভাল হয়েছে। চালের বাজার দর স্থিতিশীল রাখতে তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখা হয়েছে। অজুহাত দিয়ে চালের দর বাড়ানোর চেষ্টা মেনে নেয়া হবে না। দেশের শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সশ্য উৎপাদন করেছেন। সেই শ্রম কিছুতেই মূল্যহীন হতে দেওয়া হবে না। একইসাথে অতিরিক্ত দরে যাতে ভোক্তাকে চাল কিনতে না হয় সেজন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে।
সরকারী গুদামে ধান-চাল সংগ্রহের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন- প্রকৃত কৃষক ছাড়া কারো কাছ থেকে ধান কেনা হবে না। সরকারী সশ্যক্রয়ে রাজনৈতিক নেতা কিম্বা প্রভাবশালীদের স্থান দেওয়া হবে না। ধান দিতে এসে কৃষককে যাতে হয়রানীর শিকার হতে না হতে হয়; এ জন্য কর্মকর্তাদের ডেকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপরও কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ধান-চাল ক্রয় মনিটরিং করতে খাদ্যমন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মনিটরিং টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। টিমগুলো সারাদেশে সশ্য সংগ্রহ ও বাজার দর মনিটরিং করবে। এছাড়া জেলা প্রসাশক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে সজাগ থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন- সরকারী ধানক্রয় সহজ ও ডিজিটালাইজড করতে পরীক্ষা মূলক ভাবে দেশের ১৬ টি উপজেলায় ‘কৃষকের অ্যাপ’ চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটি সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এতে চাষিরা সহজেই ঝামেলাহীন ভাবে গুদামে ধান সরবরাহ করতে পারবেন।
আমন ধান কাটা ও মাড়াই চলছে। তবে এখনও পুড়োদমে কৃষকের ঘরে উঠতে শুরু করেনি। কাঁচা ধানের বর্তমান বাজার দরে খুশি কৃষক। এবার চাষিরা ভাল দাম পাবে বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন মন্ত্রী।