ঢাকা (সকাল ১০:১৮) শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৃদ্ধাকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ গ্রেফতার ৩

<script>” title=”<script>


<script>

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃদ্ধা নারী রোকেয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা ঘটনায় মূলহোতোসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাসুয়াটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। জমিজমার দখল নিতেই এই হত্যাকান্ড বলে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত মূলহোতা রোকেয়ার সৎ জামাই সেকান্দার আলী।

এই কিলিং মিশনে ৫০ হাজার টাকায় ৪ জন কিলারকে ভাড়া করা হয়। এদের মধ্যে বড় সাহেব ও বারোতেরো নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বুধবার বিকেলে জেলা পুলিশ অফিসে প্রেসব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার এইচএম আব্দুর রাকিব।

এর আগে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন সেকান্দার আলী। পুলিশ সুপার এইচএম আব্দুর রাকিব সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, গত ১৩ জুন সকালে সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্বটিকরা গ্রামের নিজ ঘর থেকে রোকেয়া বেগমের গলাকাটা ও বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে সদর মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোছাইনের নেতৃত্বে কলু-লেস এই হত্যাকান্ডের তদন্তে নামেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি অপারেশন মিন্টু রহমান।

তারা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোকেয়ার সৎ মেয়ের জামাই পশ্চিম টিকরা গ্রামের মৃত লুথু মন্ডলের ছেলে সেকান্দার আলীকে ১৬ জুন মঙ্গলবার গভীর রাতে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রোকেয়া বেগমকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন তিনি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সেকান্দার জানায় তারা সম্পত্তির লোভে অপর চার জামাই সাড়ে ১২ হাজার করে টাকা চাঁদা উঠিয়ে ৪ জন কিলারকে ভাড়া করে এবং কিলারদের সাথে সেও হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কিলার গ্রুপের বড় সাহেব ও বারোতেরো নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। সে আরও স্বীকার করে তিনি গত বছরের ঠিক একই দিন অর্থাৎ ১২ জুন রাতে শ্বশুর শুকুদ্দিকে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালানো হয়েছিল।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT