চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্দরে আমদানী করা পেঁয়াজ পরিদর্শণ করলেন ভোক্তার ডিজি
এস এম সাখাওয়াত রবিবার সকাল ১১:১৪, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কমাতে কি কি উদ্দ্যোগ নেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, “আমাদের দেশীয় উৎপাদন যাতে চাহিদা মতো বাড়ানো যায় সেটি কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে পরিকল্পনা করতে হবে। পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানিতে পঁচে যাওয়া রোধে কীভাবে ব্যবহার উপযোগী পেঁয়াজ আনা যায় এই সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করতে হবে।” শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ডিজি বলেন, “ভোক্তাদের যে চাহিদাগুলো রয়েছে তার মধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম। ভোক্তারা পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে একটু সমস্যার মধ্যে আছে। যৌক্তিক দামের তুলনায় পেঁয়াজ কিনতে অসুবিধা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা দেখছি বর্তমানে আমাদের আমদানি করা পণ্যের মধ্যে অন্যতম পেঁয়াজ। সেই পেঁয়াজগুলো কিভাবে একদেশ থেকে আমাদের দেশে আসে। কেন আমদানিকারকরা জনসাধারণের নাগালের মধ্যে দাম নিয়ে আসতে পারেন না। কি কি সমস্যা হয়। তা জানার জন্যই সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শণে এসেছি।”
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান আরও বলেন, “সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শণে এসে দেখলাম কিছু পণ্য আসতে না আসতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই কারণে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন আমদানিকারকরা। তাদের দাবি যে পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হয় তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যবহারযোগ্য থাকে না। এর ফলে দাম নির্ধারণ করতে গিয়ে পণ্যের মূল্য বেড়ে যায় যা ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলে। আর তাই মূল্য কীভাবে ভোক্তার অনুকূলে আনা যায় এ নিয়ে আমরা কথা বলবো। সমস্যা সমাধানে অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায় কী না তা দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে আমদানিকারকদের সাথে আলোচনা করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।”
পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়ে ডিজি বলেন, “ইতোমধ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে। তারপরও আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে ভোক্তাদের যাতে উপকার হয় তাই করা হবে। এদিকে স্থলবন্দরগুলোতে পেঁয়াজের সিন্ডিকেট রয়েছে কী না তা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে জানতে হবে। আপনাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশা রাখি। এছাড়া ভোক্তাদের দিক বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ে জনবল সংকট সমাধানের বিষয়ে আশ্বাস দেন তিনি।”
এর আগে সন্ধ্যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শুল্ক স্থল বন্দর সোনামসজিদ বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের বিভিন্ন ইয়ার্ড পরিদর্শণকালে আমদানি করা পেঁয়াজের মান যাচাই-বাছাই করেন ও আমদানিকারকদের সাথে কথা বলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
পরিদর্শণকালে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাকিব হাসান তরফদার, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মাইনুল ইসলাম, সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রæপের সভাপতি গাজী সালাউদ্দীনসহ স্থলবন্দরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।