ঢাকা (রাত ৪:২০) শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

পুলিশ হেফাজতে আসামীর মৃত্যু : বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

মৃত আফসার আলী (৩৫) আটকের পর তোলা ( বামে), মৃত্যু হওয়ার পর ( ডানে)
মৃত আফসার আলী (৩৫) আটকের পর তোলা ( বামে), মৃত্যু হওয়ার পর ( ডানে)



র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতারকৃত হেরোইন মামলার আসামী আফসার আলীর (৩৫) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) দুইজন আইনজীবী। আবেদনে আফসার আলীর মৃত্যুর বিষয়টিকে হত্যা দাবী করে এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে এ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও এ্যাডভোকেট শাহীনুজ্জামান শাহীন ১২ জুলাই রবিবার এই রিট আবেদন দাখিল করেন। এতে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
বিচারপতি জে.বি.এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। আর আফসার আলীর মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ জুলাই রবিবার র‌্যাব-৫ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদস্যরা সদর উপজেলার সুন্দরপুর বাগডাঙ্গা শুকনাপাড়া এলাকা থেকে ১ কেজি ১৯৫ গ্রাম হেরোইনসহ পৌর এলাকার টিকরামপুর মধ্যপাড়ার মহসীন আলীর ছেলে আফসার আলীকে গ্রেফতার করে ওই দিনই নবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় সোপর্দ করে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে পরদিন ৬ জুলাই সোমবার পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে একই দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হাজতে আনা হলে সন্ধ্যে ৭টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। ওই দিন রাত ১২টার দিকে পরিবারকে আফসারের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা হেফাজতে আফসার আলীর (৩৫) মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবী করলেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম খাঁন বলেছেন, বাথরুমে ঢুকে হাজত খানার সামনে রাখা স্ট্যান্ড ফ্যানের তার গলায় পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে চিকিৎসক বলেছেন, হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পর বুকের ব্যথায় মারা গেছেন আফসার। আর নিহতের স্ত্রী বলেছেন, আফসারকে খুন করা হয়েছে।

এদিকে রাতে হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যার কোনো চিহ্ন লাশের গলায় দেখা যায়নি। আর তাই আফসারের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যে রহস্য আরো ঘনীভূত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এ ব্যাপারে এ্যাডভোকেট শাহীনুজ্জামান শাহীনের সাথে মামলার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে রবিবার দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT