ঢাকা (দুপুর ২:০৪) সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


চাঁপাইনবাবগঞ্জে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে পাঁচ বছরের শিশুকে বলাৎকার

এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ Clock রবিবার রাত ০৮:২৩, ২২ মে, ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় ৫০০ টাকার লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে উঠেছে।

গত শনিবার (২১ মে) বিকেল তিনটার দিকে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। মল্লিকপুর বাজারের মহানন্দা নদীর ধারে পল্লী চিকিৎসক আক্তার উদ্দিনের ছাদে বলাৎকার করা হয় বলে জানান ওই শিশু।

অভিযুক্ত রাতুল আলী (১৮) নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সালালপুর গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে। আর বলাৎকারের শিকার শিশুর বাড়ি গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ী গ্রামে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, স্থানীয় বাসিন্দা, শিশু ও তার পরিবার, অভিযুক্ত রাতুলের বাবা ও ইউপি চেয়ারম্যান। তবে ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়েছে রাতুল আলী।

ওই শিশুর মা বলেন, প্রত্যেক শনিবার করে আমার ছেলে মল্লিকপুর হাটে ঘুরতে যায়। গতকালকেও দুপুরের পর হাটে গিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরে আসে। বাসায় আসার পর তার সাথে ঘটা ঘটনাটি আমাকে বলে ও ক্ষতস্থান দেখায়। সেখান দিয়ে রক্তপাত হওয়ায় রাতেই গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেই। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার ছেলেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।

এ বিষয়ে বলৎকারের শিকার ওই শিশু জানায়, হাটে যাওয়ার পর ওই লোকটির (রাতুল) সাথে আমার দেখা হয়। সে আমাকে মল্লিকপুর বাজারের নদীর ধারের একটি বাড়ির ছাদে নিয়ে যায়। আমাকে ৫ শত টাকা দেয়ার কথা বলে আমার প্যান্ট খুলে খারাপ কাজ করা শুরু করে। আমি বারবার বাধা দিলেও সে আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। এর ফলে আমার কষ্ট হলে আমি রক্ত দেখে চিৎকার শুরু করলে, সে আমাকে ছাদে ফেলেই পালিয়ে যায়। আর কিছুক্ষণ পরে এক লোক আমাকে ওই বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি এসে আমার মাকে আমি সবকিছু খুলে বলি।

অভিযুক্ত রাতুল আলীর বাবা তরিকুল ইসলামের সাথে রবিবার (২২ মে) সকালে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শনিবার রাত থেকে আমার ছেলে পলাতক আছে। রাতে আমাকে পুলিশ আটক করেছিল। পরে বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছে। পুলিশকে সাথে নিয়ে অনেক জায়গায় তাকে খুঁজতে গেছি। কিন্তু কোথাও তাকে পাইনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে যাব।

মল্লিকপুর বাজারের বাসিন্দা ডলার ওরফে আপন রেজা জানান, অভিযুক্ত রাতুল আলী ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। গত এক বছর আগে বিয়ে করা রাতুল আলী পেশায় ট্রাক্টর চালক।

এ বিষয়ে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাদির আহম্মেদ ভুলু জানান, শনিবার রাতে আমি ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি সত্যি ন্যাক্কারজনক।

নাচোল থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মিন্টু রহমানের সাথে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা (ভুক্তভোগী শিশু ও পরিবার) এখন হাসপাতালে রয়েছে। দুপুরের পর তাদের থানায় এসে মামলা দায়ের করার কথা রয়েছে। মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT