গোমস্তাপুরে গৃহবধু ধর্ষণ মামলায় শ্বাশুড়ী পলাতক
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ শনিবার রাত ০৮:৩৯, ২১ আগস্ট, ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামী ওই উপজেলার যুবলীগ নেতা রবুকে মামলার পরপরই আটক করতে পারলেও ওই মামলার অপর এক আসামী রবুর সহযোগী প্রবাসীর মা রেহেনা বেগমকে সাত দিনেও আটক করতে পারেনি গোমস্তাপুর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে গৃহবধুর পিতা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের সাথে খারাপকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করার পর কেবল একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু মামলার ৭ দিনেও মেয়ের শ্বাশুড়ী এই ঘটনার প্রধান সহযোগীকে আটক করতে পারেনি। উপরন্তু মামলা প্রত্যাহারের জন্য একটি মহল বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে। তবে আমরা আশ্চর্য হচ্ছি এই ভেবে যে একজন মা কিভাবে তার ছেলের বিদেশ থাকাকে হাতিয়ার করে নিজ মেয়ের মতো ছেলের স্ত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে ? এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারেনা।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোমস্তাপুর থানার উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা জানান, মামলার অপর আসামি রেহেনা বেগমকে আটকের জন্য পুলিশ জোড় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ ধরনের ঘটনা সত্যিই দু:খজনক।
উল্লেখ্য, গোমস্তাপুর উপজেলার এক গৃহবধুকে তারই শ্বাশুড়ীর সহযোগীতায় ধর্ষণ করে ওই এলাকার যুবলীগ নেতা রবু। আর বিষয়টি বুঝতে পেরে শ্বাশুড়ীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উল্টে তিনি এই অনৈতিক কাজ চালিয়ে যেতে কু প্রস্তাব দেন এবং তা না করলে আরো খারাপ হবে বলে হুমকি দেন। ফলে গৃহবধু তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। এদিকে মা-বাবা বারংবার তাকে শ্বশুড় বাড়ি যেতে বললেও ভয়ে সে ওইসব বিষয়ে কিছু না বলে শ্বশুর বাড়ি যেতে না চেয়ে আত্মহত্যা করবে বলে জানায়। পরে মা-বাবার অনেক অনুরোধে সে তার অজ্ঞাতে ঘটিত ধর্ষণের ঘটনার বিস্তারিত জানায় তার পরিবারকে।
পরে পরিবারের সহযোগীতায় গৃহবধু নিজে বাদী হয়ে ১৪ আগস্ট শনিবার গোমস্তাপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে সেদিনই যুবলীগ নেতা রবিউল ইসলাম রবুকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।