গোপনে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি, ক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজ
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার বুধবার রাত ০৮:৫৯, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না দাউদকান্দি পৌরসভার দাউদকান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসীমউদ্দিন আহম্মেদকে।
প্রধান শিক্ষক তার নিজের চেয়ার ধরে রাখতে এই বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার সিনিয়র শিক্ষক শাহাদাত হোসেন ও ইংরেজি শিক্ষক মৃনাল কান্তির সহযোগিতায় বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে ছাত্র সমন্বয়কদের সঙ্গে বাঁধিয়েছিলেন গন্ডগোলও। সেই বিষয়টি কৌশলে ধামাচাপাও দেওয়া হয়েছিল। তবে ঘটনায় জড়িত লাপাত্তা রয়েছেন অতিউৎসাহী একাধিক শিক্ষক।
এবার সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এলো নতুন খবর। অভিযোগ ওঠেছে, বিদ্যালয়েট প্রধান শিক্ষক নিজের পছন্দের বিতর্কিত লোককে অগ্রাধিকার দিয়ে তড়িঘড়ি করে গোপনে এডহক কমিটি দেওয়ার।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনাও হচ্ছে।
এ নিয়ে তৌফিক রুবেল নামের এক সমাজকর্মী ও সাংবাদিককে তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট দিতে দেখা গেছে। তিনি তাতে লিখেছেন”
এতো বিপ্লব করে কি হলো দাউদকান্দি আদর্শ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটিতে আওয়ামী লীগের লোক অভিভাবক সদস্য হয় কেমনে,বুঝতাছি না কে তার নাম প্রস্তাব করলো,আমি জানতে চাই।” তার এই পোস্টে অনেকেই মন্তব্য করে এই প্রধান শিক্ষকের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
যানা যায়, এহহক কমিটিতে মনোনীত হয়েছেন বরকোটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল। অথচ প্রবিধান অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে উচ্চ মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক নির্বাচিত ব্যক্তিকে এডহক কমিটির সদস্য হিসেবে রাখার কথা স্পষ্ট উল্লেখ্য আছে। সেই ক্ষেত্রে এই নিয়মনীতিরই তোয়াক্কা করেন নি এই প্রধান শিক্ষক।
উপজেলা ছাত্র সমাজের সমন্বয়ক সাইফুল ইসলাম বলেন,” দাউদকান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মত একটা বিদ্যালয়ে এভাবে গোপনে এডহক কমিটি দেওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। যাকে দিয়েছেন তিনি পৌরসভার কেউ নন, এই বিদ্যালয়ে পৌরসভার সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে এডহক কমিটিতে রাখার দরকার ছিল।”
এডহক কমিটির বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জসীমউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ” কমিটি গোপনে দেওয়া হয়নি। সময় ছিল মাত্র ১ দিন। তাই ইউএনও( তদানীন্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরাফাতুল) স্যারের কাছে এডহক কমিটির বিষয়ে আলোচনা করে বোর্ডে পাঠিয়ে দিই।”
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) নাঈমা ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ” আমি নতুন এসেছি। হয়তো আগের ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করে করেছে। তবে যদি বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য কেউ কমিটিতে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ”
প্রধান শিক্ষক জসীমউদ্দিন আহম্মেদের বক্তব্যের সত্যতা জানতে তদানীন্তন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও), মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম বলেন,
” এডহক কমিটির নিয়ে দাউদকান্দি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসীমউদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। ওনি যে একদিন সময়ের কথা বলেছেন এটাও ভিত্তিহীন।”