কিশোরগঞ্জে সালিশে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক যুবকের মৃত্যু
মোঃ কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার রাত ০৮:০০, ৪ জুন, ২০২০
রায়হান জামান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় শ্বশুর বাড়ির সম্পত্তির ভাগ-বন্টন নিয়ে আয়োজিত সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে ৪৯ দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবাজুল (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জুন) রাত ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত সাবাজুল মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মীর বাড়ির আনু মিয়ার ছেলে। গত ১৫ এপ্রিল রাতে সালিশ বৈঠকে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন সাবাজুল। এছাড়া সাবাজুলের আরো দুই ভাই মাহজুল (২৪) ও এবাদুল (২২) ও এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়। জানা যায়, ঘাগড়া মীর বাড়ি গ্রামের আনু মিয়া ও রেনু মিয়ার মধ্যে শ্বশুর বাড়ির সম্পত্তির ভাগ-বন্টন নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের সমাধানের জন্য গত ১৫ এপ্রিল রাতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশ বৈঠকের এক পর্যায়ে রেনু মিয়ার ছেলেরা আনু মিয়ার ছেলেদের উপর এলোপাতারী ছুরিকাঘাত করলে তিন ভাই সাবাজুল, মাহজুল ও এবাদুল (২২) গুরুতর আহত হয়। মুমুর্ষ অবস্থায় সাবাজুল কে প্রথমে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেখান থেকে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে ঘাগড়া মীর বাড়ি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে আসার পর তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩ জুন) রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে আহত হওয়ার ঘটনায় আনু মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া বাদী হয়ে ৮ জন কে আসামী করে মিঠামইন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছিল। মিঠামইন থানার ওসি মো. জাকির রব্বানী আহত সাবাজুলের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলামকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে পূর্বেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।