ঢাকা (বিকাল ৫:৫৩) শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
শিরোনাম

ওয়ারিশের সম্পত্তি লিখে নেওয়ার অভিযোগ বড় ভাইর বিরুদ্ধে

অভিযোগ



জাল-জালিয়াতীর মাধ্যমে পিতার ওয়ারিশদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার আঃ বাছেদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ছোট ভাই কর্ণেল (অব:) গাজী মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার আঃ বাছেদ সহ তিনজনকে বিবাদী করে শশীভূষণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

বিবাদীরা হলেন- (১) বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার আঃ বাছেদ (৮৫) পিতা-মৃত ইদ্রিস, (২) ভাতিজা গাজী শহিদুল ইসলাম (৫০) পিতা-
ইঞ্জিনিয়ার আঃ বাছেদ, (৩) ভাতিজা রাশেদুল ইসলাম (৪৫) পিতা-ইঞ্জিনিয়ার আঃ বাছেদ।

লিখিত অভিযোগে গাজী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার পিতা মৃত ইদ্রিস পন্ডিতের ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ভাগের সম্পত্তি আমাকে বুঝাইয়া না দিয়া আমার স্বাক্ষর নকল করিয়া আত্মসাতের উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিবাদী আঃ বাছেদ গংদের নামে সম্পত্তি লিখে নেয়। এবং আমার ভাগের সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগ দখল করে আসছে। আমি বহুবার তাদের নিকট আমার সম্পত্তির ভাগ বুঝিয়া চাইলে বিবাদীরা বিভিন্ন তালবাহানার কথা বার্তা বলিয়া ঘুরাইতে থাকে।

উক্ত বিষয় নিয়া আমি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইলে বিবাদীরা কাহারো কথায় কোন তোয়াক্কা করে না এবং আমাকে বিভিন্ন তারিখে ও সময়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমি বা আমার পরিবারের কেউ বিবাদীদের নিকট হইতে আমার ভাগের সম্পত্তি দখল করিতে গেলে আইনশৃঙ্খলা অবনতি সহ শান্তি ভঙ্গের সম্বাবনা রয়েছে। পরবর্তীতে আমি নিরুপায় হয়ে এ বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া শশীভূষণ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগটি শশীভূষণ থানার ইনচার্জ রিসিভ করে পরিদর্শক জিল্লুর রহমানের কাছে তদন্তপূর্বক আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। রিসিভ নং-৩৯৩/২৩। তারিখ-০৬/০৫/২৩ ইং।

এ বিষয়ে শশীভূষণ থানার পরিদর্শক জিল্লুর রহমান জানান, দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে একটি তারিখ দেওয়া হয়। নির্ধারিত তারিখে তারা কাগজপত্র নিয়ে আসবে বলে, কিন্তু আঃ বাছেদ গংরা আসেননি। সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, এছাড়াও আমার আরও ৪ ভাই ও ২ বোনের ভাগের সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিবাদী ইঞ্জিনিয়ার আঃ বাছেদ গংদের নামে লিখে নেয়। এ বিষয়ে আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতের শরণাপন্ন হব।

বিরোধীয় জমির পরিমান-৫.৮১/ এস এ খতিয়ান নং-৭৭-১/ দাগ নং-৫৯৮, ৬০০, ৬০৪, ৬০১, ৬০২, ৬০৩, ১০৬৪/ জে এল নং-৩৪/ মৌজা-পশ্চিম এওয়াজপুর/ থানা-শশীভূষণ, উপজেলা-চরফ্যাশন, জেলা-ভোলা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার আঃ বাছেদ বলেন, এসব সম্পত্তি আমার সব ভাইরা ও ওয়ারিশরা বহু আগেই তৃতীয় এক পক্ষর কাছে বিক্রি করে দেন।

আমি ওই তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে সাফ কাবলামূলে ক্রয় করি। আমি কোন ওয়ারিশের সম্পত্তি আত্মসাত করিনি। এসব তাদের ফালতু কথা।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT