প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান- র্যাব। র্যাবের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, প্রশ্নফাঁসে জড়িত কিংবা এমন কোনও ধরনের আলামত কারও কাছে পাওয়া গেলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোথাও প্রশ্নফাঁসের বিষয় নজরে এলে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, পরীক্ষার প্রশ্ন সাধারণত দু ভাগে ফাঁস হয়। একটি হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে। অন্যটি হচ্ছে পরীক্ষার শুরুর পরই প্রশ্ন বাইরে আসে। পরবর্তীতে প্রশ্ন সমাধান করে আবার সেই ডিভাইসেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও দুটি মাধ্যমকে প্রশ্নফাঁসের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার করতে হয়। পরীক্ষা হলে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও কেউ যদি কোনও ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আগে থেকেই আমাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ নজরদারি চলবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি তেজগাঁও গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম সবুর বলেন, এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস রোধে সব ধরনের নজরদারি আমরা বাড়িয়েছি। প্রশ্নপত্র ফাঁসে যারা আগে গ্রেফতার হয়েছিল তাদের উপরও নজরদারি রাখা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা যেন না ঘটে; সে ব্যাপারে আমরা তৎপর।