মোঃ কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুর ০১:০০, ৪ জুন, ২০২০

মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ট্রান্সফরমারসহ বিদ্যুতের একটি খুঁটি ভেঙে পড়ে বসতঘর ভেঙ্গে গেছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন ওই বসতঘরের বাসিন্দারা। বুধবার (৩ জুন) দুপুরের দিকে উপজেলার ৪নং উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের করমপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় ও পল্লী বিদ্যুত কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এসময় উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের করমপুর গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের একটি লাইনের ওপর গাছ পড়ে। এতে ১০ কেভি ট্রান্সফরমারসহ একটি খুঁটি ভেঙে পড়ে পাশ্ববর্তী ঘরের উপর। বিদ্যুতের খুঁটির চাপে বসতঘরটি ভেঙ্গে যায়। এ সময় ঘরে থাকা বাসিন্দারা অল্পের জন্য রক্ষা পান। তবে তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে পরিবারের দুজন সদস্য আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের দ্বায়িত্বরত লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আশপাশের এলাকা ঝুঁকিমুক্ত করে। তবে ভাঙা খুঁটিটি ঘরের ওপর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়নি ট্রান্সফার নেওয়া হয়েছে বড়লেখা জোনাল অফিসে। বুধবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত খুঁটিটি ঘরের ওপর ছিল। ভেঙ্গে যাওয়া ওই ঘরের বাসিন্দারা পাশের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।   বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিদ্যুত লাইনের কাজ করার সময় বসত ঘরের সীমানা ঘেঁষে খুঁটি বসানো হয়। ওই খুটিতে ট্রান্সফরমারও লাগানো হয়। বাড়ির অদূরেও আরেকটি খুঁটি বসানো হয়।  এগুলো অনেকদিন থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। আপত্তি জানালেও তখন লাইন টেনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছিল। এরপর ঝুঁকিপূর্ণ একটি খুঁটি সরানোর জন্য আবেদনও করা হয়। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটিটি সরানো হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুল আহমদ বলেন, ‘অল্পে বড় ধরণের দুর্ঘটনার হাত থেকে মানুষ রক্ষা পাইছেন। আমি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরির্দশন করেছি। এখানে ঝুঁকিপূর্ণ একটি খুঁটি সরানোর জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা লিখিতভাবে আবেদন দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির- বড়লেখা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. এমাজ উদ্দিন সরদার বুধবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১০টায় মুঠোফোনে বলেন, ভেঙে পড়া খুঁটিতে ১০ কেভির ট্রান্সফরমার ছিল। খুঁটির অদূরের লাইনে গাছ পড়ে ওটাতে টান খেয়ে ভেঙে গেছে। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। কেউ হতাহত হয়নি। আমরা সরেজমিনে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।