ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:১২) রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিলেটে ভূয়া রিপোর্ট প্রদানকারী ডাঃ র‍্যাবের খাঁচায়

মোঃ কামরুজ্জামান মোঃ কামরুজ্জামান Clock রবিবার রাত ১১:২৯, ১৯ জুলাই, ২০২০

মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট প্রতিনিধি: মহামারী করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে টাকা আত্মসাৎকারী, করোনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা, ভূয়া নেগেটিভ সার্টিফিকেটের জন্য দেশ-বিদেশজুড়ে রিজেন্ট কান্ড আর সাহেদ সমালোচনার ঝর তুলেছে। সেই সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতে আধ্যাত্মিক রাজধানী দুটি পাতা একটি সিলেট নগরীতে রিজেন্ট কান্ডের জন্য গ্রেফতার করা হল আরেক ‘সাহেদ’ কে। রবিবার সিলেট নগরীর সিলেট নগরীর মধুশহীদস্থ মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের (নীচ তলায়) ডা. শাহ আলমের চেম্বারে হানা দিয়েছে র‌্যাব-৯ এর একটি দল। অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়। রবিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযান চলাকালে ডা. শাহ আলম সাথে ছিলেন। তিনি তার চিকিৎসার সনদসহ বিভিন্ন ধরণের কাগজপত্র বের করে ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখান। এসময় র‌্যাবও তার চেম্বারে তল্লাশি চালায়। জানা গেছে, ডা. শাহ আলম নগরীর মধুশহীদ এলাকায় মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের (নিচতলায়) চেম্বার করেন। বিদেশযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দেশ ও এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সার্টিফেকেট বাধ্যতামূলক করার পর প্রবাসীদের টার্গেট করেন ডা. শাহ আলম। বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি বিদেশযাত্রীদের কাছে খবর পৌঁছান ‘করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট’র ব্যবস্থা করে দেয়ার। ‘করোনা নেগেটিভ’ সার্টিফিকেট দেয়ার কথা বলে বিদেশযাত্রীদের কাছ থেকে তিনি চার হাজার টাকা করে আদায় করেন। ফ্লাইটের ৪৮ ঘন্টা আগে তিনি ওই প্রবাসীকে ডেকে নিয়ে হাতে ধরিয়ে দেন প্রত্যয়নপত্র। রোগী বা যাত্রীকে না দেখেই নিজের প্যাডে দেয়া ওই প্রত্যয়পত্রে ডা. শাহ আলম লিখে দেন, তিনি ওই ব্যক্তিকে তার চেম্বারে দেখেছেন। তার মধ্যে কোভিড-১৯ এর কোন লক্ষণ নেই।’ এছাড়া প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করেন, এই মূহুর্তে বাংলাদেশে উপসর্গহীনদের করোনা পরীক্ষার সুযোগ নেই। ডা. শাহ আলমের দেয়া এরকম একাধিক প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। এদিকে, সংশ্লিষ্ট ট্রাভেলস বা এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগের পর বিদেশযাত্রীরা বুঝতে পারেন ভূয়া প্রত্যয়নপত্র দিয়ে ডা. শাহ আলম প্রতারণা করেছেন। কিন্তু ফ্লাইটের সময় ঘনিয়ে আসায় তারা ঝামেলায় না জড়িয়ে ঢাকায় গিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশ চলে যান। নিজের পরিচয়ের ক্ষেত্রেও প্রতারণার আশ্রয় নেন ডা. শাহ আলম। তার প্রত্যয়নপত্রের নিচে নিজের পদবী লিখেছেন ‘মেডিকেল অফিসার, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’। কিন্তু ওসমানী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন ডা. এ এইচ এম শাহ আলম ওসমানীতে কর্মরত নয়। এ ব্যাপারে ডা. শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই সময় তিনি টাকার বিনিময়ে ‘নন কোভিড প্রত্যয়নপত্র’ দেয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেছিলেন, চার হাজার টাকা নয়, দুই হাজার টাকা করে নিয়ে তিনি দু’জন যাত্রীকে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। এভাবে প্রত্যয়নপত্র দেওয়া সঠিক হয়নি স্বীকার করে তিনি অনুসূচনাও করেন। ভূয়া পদবী ব্যবহারের ব্যাপারে ডা. শাহ আলম বলেন, তিনি বর্তমানে কোন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত নন। টাইপের সময় কম্পিউটার অপারেটর ভুলবশত তার নামের নিচে ওসমানী হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার লিখে ফেলছে।



শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT