দাউদকান্দিতে এই প্রথম আল্লাহ’র ৯৯টি নাম সংবলিত ” আল্লাহু স্তম্ভ”
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:২৬, ২ জানুয়ারী, ২০২৫
কবি মতিউর রহমান মল্লিক লিখেছেন আল্লাহর সৌন্দর্যের উপলব্ধি কেমন হতে পারে ‘ তোমার সৃষ্টি যদি হয় এতো সুন্দর, না জানি তাহলে তুমি কতো সুন্দর “।
আসলেই এটা কবির উপলব্ধি কেবল, আল্লাহর সৌন্দর্য ও গুণাবলী সমগ্র মানবজাতির দ্বারা লেখা ও বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তিনি এক অনন্য ও অতুলনীয় লা শরীক আল্লাহ।
একেশ্বরবাদী যারা তারা তো জানেন একজনই সৃষ্টিকর্তা। তিনি মহামহিম মহান দয়াবান ও দয়াময়।
আল্লাহ এমন একটি নাম যে এই নাম মুখে নিবে আমল নামায় লেখা হবে অগণন নেকী, এই নাম স্পর্শ করলেও সওয়াব, এই নামের দিকে তাকালেও সওয়াব।
তাই তো কাজী নজরুল ইসলাম খোদাপ্রেমে দিওয়ানা হয়ে লিখেছিলেন ” খোদার নামের সরাব পিয়ে, বেহুশ হয়ে রই পড়ে।”
আল্লাহ নামটি বড় মুধুময় এই নাম জপিলেই ইহকাল ও পরকালে শান্তি লোভিত হয়।
বলছি দাউদকান্দি পৌরসভার মডেল থানা লাগোয়া শহীদ রিফাত শিশু পার্কের অভ্যন্তরে স্বাধীনতার পর এই প্রথম ” আল্লাহু স্তম্ভ” নির্মাণের কথা।
এই কাজটি যিনি মূখ্য ভূমিকা নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে করেছেন তিনি হলেন দাউদকান্দি পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৫ নং ওয়ার্ডের মানবিক কাউন্সিলর খন্দকার বিল্লাল হোসেন সুমন।
উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও মানবিক দাউদকান্দির তত্ত্বাবধানে এই মহৎ কাজের সঙ্গে আরও যুক্ত ছিলেন ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সালাউদ্দিন সরকার ও সমাজকর্মী তৌফিক রুবেল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহান আল্লাহর ৯৯টি গুণবাচক নাম সংবলিত ” আল্লাহ স্তম্ভ ‘ দেখতে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন।
এবং তা দেখার পর হৃদয়ে এক ধরনের শান্তি অনুভব করছেন।
আল্লাহু স্তম্ভের নিচে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা যা প্রতিদিন সন্ধ্যা হওয়ার পর স্বচ্ছ পানির ঝর্ণাধারা অবারিত হয়ে ঢলে পড়ছে, এতে যেন এই আল্লাহু স্তম্ভের সৌন্দর্যের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এছাড়াও এই পার্কে নতুন করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত বাবুকে স্মরণীয় করে রাখতে “শহীদ বাবু মুক্ত মঞ্চ” নামে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। জানাজা নামাজের জন্য সুন্দর একটি ওযুখানা, আই লাভ মুহাম্মদ (সা.), আই লাভ দাউদকান্দি, একটি ব্যাটনিমন্টন কোর্ট, সবুজায়নের জন্য থরে থরে লাগানো হয়েছে সুপারি গাছ। এছাড়াও শিশুর বিকাশে শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন অনেক শিশু রাইড।