ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করলো ‘আলোর দিশা, বাংলাদেশ’
ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সোমবার সকাল ১১:২৫, ২০ জুলাই, ২০২০
আলোর দিশা, বাংলাদেশ (আদিবা) এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাসব্যাপী বিভিন্ন অনলাইন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক রাসেল মুরাদ।
জানা যায়, পুরো মাসব্যাপী বিভিন্ন অনলাইন ফেসবুক লাইভ প্রোগ্রামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কলামিস্ট, সাংবাদিক, গল্পকার, জাতীয় টেলিভিশন বিতার্কিক, বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা, মাল্টিন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের উর্ধতন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক এবং অন্যান্য উর্ধতন পদের ব্যাক্তিদের নিয়ে ১১টি অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করে। ‘আলোর দিশা, বাংলাদেশ’ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহ প্রায় শতাধিক অংশগ্রহণকারী এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এসময় তারা বাজেট, শিক্ষাখাত, করনাকালীন অনলাইন ক্লাস, ভারত চীন দ্বন্দ্ব, মেন্টাল হেল্থ, কভিড-১৯ এর প্রভাব, সংগঠন ও এর গুরুত্ব, ক্যারিয়ার আড্ডা, লেখালেখি বিষয়ক পরামর্শ, বিদেশে পড়াশোনা নিয়ে পরামর্শ, নতুন প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র এবং আরও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ, নির্দেশনা ও গাইডলাইন মূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে বিদেশে পড়াশোনা, বিসিএস ও মাল্টিন্যশনাল প্রতিষ্ঠানে কর্মক্ষেত্র বিষয়ক পরামর্শ বেশ প্রাণবন্ত ও সাড়াজাগানো অনুষ্ঠান ছিলো।
জানা যায়, গত জুন মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু করে জুলাই মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত মাসব্যাপী এ অনুষ্ঠান চলে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ বিশেষ আয়োজন শেষ করে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করবো। যেহেতু আমাদের কার্যক্রম মোটামুটি অনলাইন নির্ভর সেক্ষেত্রে করনাকালীন নিয়মিত আয়োজনে কোনরকম বিরুপ প্রভাব পড়বে না। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই আমাদের বড় কোন আয়োজন ছিল এবং ইনশাল্লাহ এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
প্রতিষ্ঠার ১৯ জুন-২০১৯ সাল থেকে ১৯জুন-২০২০, এক বছরের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে রাসেল মুরাদ যেসকল উল্লেখযোগ্য কার্যাবলীর কথা বলেন সেগুলো হলো,
১। পাঁচ শতাধিক বই ফ্রি পড়ানোর জন্য সংগ্রহ করা,
২। প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীকে ফ্রি বই পড়ানো,
৩। ৫০-৬০ টি রিভিউ ভিডিও ধারণ করা,
৪। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা,
৫। কুষ্টিয়ার শান্তিডাঙায় সেমিনার করা,
৬। ইবিতে বুক রিভিউ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা,
৭। সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা,
৮। ইবিতে বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে পাবলিক স্পিকিং কম্পিটিশনের আয়োজন করা,
৯। সিরাজগঞ্জে বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজের আয়োজন করা,
১০। ধর্ষণ ও এর প্রতিকার বিষয়ক পাবলিক মতামত নিয়ে ভিডিও ডকুমেন্টারি করা,
১১। বিভিন্ন সময় সদস্য সংগ্রহ করা এবং টি-শার্ট তৈরি করা,
১২। জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাপ্তাহিক বই পড়তে দেওয়া ও রিভিউ নেওয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা,
১৩। পাবলিক স্পিকিং দক্ষতা বৃদ্বির লক্ষে মাসিক ৩টি সেশন করা ইত্যাদি ছিলো অন্যতম।
উল্লেখ্য, ‘আলোর দিশা, বাংলাদেশ’ -বিকশিত হওয়ার এইতো সময় শ্লোগানকে সমনে রেখে শিক্ষার্থী ও তরুণদের বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে তাদের দ্বারাই পরিচালিত ও আয়োজিত সভা, সেমিনার, কর্মশালা, প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। ফ্রি বই পড়ানো ও রিভিউ লেখা ও বলার অনুশীলন করাও সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। অর্থাৎ ফ্রি বই পড়ানো, অর্থিকভাবে পাশে দাড়ানো ও দক্ষতা উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম, এই তিনটি লক্ষকে সামনে রেখে দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম করে যাচ্ছে।