বড়লেখার পাঁচ ইউপি বিএনপি-জামায়াতের ভোটই নিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীর দূঃচিন্তা
মোঃইবাদুর রহমান জাকির শনিবার রাত ১১:৩১, ২৭ নভেম্বর, ২০২১
মৌলভীবাজারের বড়লেখার ১০ ইউনিয়নের পাঁচটিতেই নেই বিএনপির কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী। এসব ইউনিয়নে আ.লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ে ফ্যাক্টর হতে পারে বিএনপি-জামায়াতের ভোট তাই পরাজয়ের বড় ধরনের বাঁধা হতে পারে নৌকার।
নৌকা ও নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী উভয়েই বিএনপি ও জামায়াতপন্থি ভোটারের মন জয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। আ.লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা ইউনিয়নে যে প্রার্থী যত বেশি বিএনপি-জামায়াতের ভোট আয়ত্তে নিতে পারবেন তিনিই বিজয় মালা পরবেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। জানা গেছে, উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী বিদ্যুৎ কান্তি দাসের বিরুদ্ধে ইউপি আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান ও সদস্য সুনাম উদ্দিন সুনাইবন্ধু নির্বাচন করছেন।
২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ১৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন বিদ্যুৎ কান্তি দাস। ধানের শীষের বিএনপি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পেয়েছিলেন ৩ হাজার ৪৩৬ ভোট। এবার তিনি মনোনয়ন জমা দিলেও পরে তিনি প্রত্যাহার করেন। তার ভোটে যে প্রার্থী বেশি ভাগ বসাতে পারবেন তিনিই জয়ের মালা পরবেন বলেই সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন।
দাসেরবাজার ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী কমর উদ্দিন ৪ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি এবার নির্বাচন করছেন না। তার এ ‘ভোটব্যাংক’ ফ্যাক্টর হতে পারে আ.লীগের বিদ্রোহী মাহতাব উদ্দিন মাতাই, স্বপন কুমার চক্রবর্তী কিংবা আ.লীগের প্রার্থী জিয়াউর রহমানে জন্য।
বড়লেখা সদর ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মামুন পান ৩ হাজার ৯১ ভোট। এবার সদর ইউনিয়নে নেই বিএনপির কোনো চেয়ারম্যান প্রার্থী। নৌকার প্রার্থী সালেহ আহমদ জুয়েলের বিরুদ্ধে আ.লীগে বিদ্রোহী সিরাজ উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিএনপি ও জামায়াতের ভোট যিনি বেশি পাবেন তিনিই বিজয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। উত্তর শাহবাজপুর ও দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপিতেও রয়েছে বিএনপি ও জামায়াতের নির্দিষ্ট বৃহৎ একটি ‘ভোটব্যাংক’। আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর বিজয়ে আশীর্বাদ হতে পারে এসব ভোট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের অন্যতম এক নেতা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত ভোটাররা আদর্শিক কারণে কখনো নৌকায় ভোট দিতে পারে না। নৌকা না পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতদের ভোট দেওয়ার সুযোগ হয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের বাক্সেই ঢুকবে বিএনপি-জামায়াতের ভোট।