বিদ্যালয়ের গাছ আওয়ামী লীগ নেতার পেটে!
সাজাদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম বুধবার রাত ১১:৪২, ১৭ মে, ২০২৩
কুড়িগ্রামের উলিপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবাধে কাটা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এসব গাছ কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উমর ফারুক এসব লুটপাট চালাচ্ছেন বলে স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন না মেনে বিদ্যালয়ের সীমানা ও মাঠে থাকা বিশাল আকৃতির চারটি রেইনট্রি কড়ই গাছ, একটি পাইকর গাছ ও একটি আম গাছ কেটে পাচার করা হচ্ছে। আর এসবের সঙ্গে জড়িত ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উমর ফারুক, অভিভাবক সদস্য আমিনুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকা বারি। প্রকাশ্য দিবালোকে এসব গাছ কেটে অন্যত্র পাচার করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোভন রাংসাকে জানানো হলে তিনি সাংবাদিককেই অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী স্কুলের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও বন বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ অনুমোদন দিলেই কাটা যাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ। তবে অসৎ উদ্দেশে গাছ আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে এসবের কিছুই মানা হয়নি।
এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উমর ফারুক ও অভিভাবক সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষককে রেজুলেশন করে শিক্ষা অফিসে জানাতে বলেছি। কিন্তু তিনি এখনও কেনো জানাননি তা বলতে পারছি না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকা বারি’র সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা ফরেস্ট অফিসার ফজলুল হক বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেন নাই। আমি কিছুই জানি না।
উপজেলার শিক্ষা অফিসার আমির হোসেন বলেন, গাছ কর্তনের বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত দরখাস্ত করেন নাই বা মৌখিক ভাবেও কেউ কিছু বলেননি।