নড়াইলের পুলিশ কর্মকর্তা ওসি মিলন ঘুষের পরিবর্তে মানুষের কাছ থেকে নিচ্ছেন সম্মান
ইকবাল হাসান,নড়াইল সোমবার বিকেল ০৫:১৭, ৩০ আগস্ট, ২০২১
নড়াইলের লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন মানবিক ও পরিচ্ছন্ন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিতি পেয়েছেন।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, করোনাকালে দরিদ্রদের মাঝে তিনি নিজ অর্থে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন, থানা ভবনসহ থানা চত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য সচেতন করতে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। সর্বপরি লোহাগড়ার মানুষ নির্ভয়ে নিজের অভিযোগটি বা আবদারের কথা ওসিকে সরাসরি বলতে পাচ্ছেন। অভিযোগপত্র হাতে পাবার সাথে সাথেই ওসি নিজেই একজন চৌকস পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে দ্রুততার সাথে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। ঘুষের পরিবর্তে ওসি শেখ আবু হেনা মিলন মানুষের কাছ থেকে নিচ্ছেন সম্মান। আর ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকল শ্রেণিপেশার মানুষকে ওসিও দিচ্ছেন সম্মান।
লোহাগড়ার উপজেলায় ১২ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা। সাধারণ মানুষকে দ্রুত আইনী সহায়তা দিতে ওসি প্রতিটি ইউনিয়নে বিট পুলিশিং কার্যক্রম কঠোর হস্তে তদারকি করেন। মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুলে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন বর্তমান ওসি শেখ আবু হেনা মিলন। একজন পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন, সৌখিন, ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসাবে তিনি সমাদৃত হচ্ছেন সর্বত্র। দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশকে পৌঁছানোর জন্য ওসি নিজের টাকায় নিজ অফিস রুমে লোহাগড়া উপজেলার বড় একটি মানচিত্র স্থাপন করেছেন। যাতে অফিসাররা ঘটনাস্থল দ্রুত সনাক্ত করে সফল অভিযান পরিচালনা করতে পারে। বিভিন্ন গ্রামের সামাজিক কোন্দল বা দলাদলি নির্মূল করতে তিনি সচেষ্ট থাকেন। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে মত বিনিময় করে সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন। সোমবার শতাধীক দরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন মানবিক ওসি শেখ আবু হেনা মিলন।
ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, নড়াইলের সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় স্যারের সঠিক পরিকল্পনা ও নির্দেশনা মেনে কাজ করে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি। করোনা ও ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে স্যারের নির্দেশনা অনুয়ায়ী কাজ করছি। পুলিশ যদি সাধারণ মানুষকে সম্মান দেয় তবে অবশ্যই মানুষও পুলিশকে সম্মান দেবে। কাউকে সম্মান দিলে নিজের সম্মান কমেনা বরং বাড়ে। মানুষের সেবা ও সহযোগিতা করতে পারলে নিজের মনের কাছেই তৃপ্ত হই। আমি গত ৮ জুন লোহাগড়া থানাতে যোগদান করেছি। এখানকার মানুষ শিক্ষিত ও ভাল মনের।