নড়াইলে করোনাকালে মানুষের সেবায় ব্যস্ত ছিলেন জনপ্রতিনিধিসহ তরুণরা
নিজস্ব প্রতিনিধি সোমবার সকাল ১১:৪২, ৬ জুলাই, ২০২০
নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়ায় করোনা যোদ্ধা হিসাবে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন এমন ব্যাক্তির সংখ্যা অনেক। করোনাকালে সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে সফল করোনাযোদ্ধা হিসাবে আস্থা অর্জনকারীদের মধ্যে অন্যতম হলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বি,এম কামাল হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি এবং তরুণ সমাজ কর্মী এসকে,এমডি হাসান।
বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় করোনার প্রভাব পড়ার সাথে সাথে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাঠ পর্যায়ে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান বি,এম কামাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি এবং তরুণ সমাজ কর্মী এসকে,এমডি হাসান।
সরকারি-বেসরকারি ও ব্যাক্তিগত অর্থায়নে দরিদ্রদের পাশে থেকে কাজ করেছেন তারা। অসহায়,দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেয়াই যেন তাদের প্রধান কাজ ছিল। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ পৌঁছে দিতেন তারা। এখনো সে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
মানুষের সেবা করতে গিয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি নিজেই করোনাক্রান্ত হয়ে চিকিসাধীন। নিজে আক্রান্ত হলেও ফোনে খোঁজ নিচ্ছেন এলাকার মানুষের।
ভাইস চেয়ারম্যান বি,এম কামাল হোসেন করোনার সূচনা লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত মানুষের সেবায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বলেন, আমার সাথে আল্লাহ আছেন, মানুষের সেবা করে যাবো। করোনাকে আমি ভয় পাই না।
এদিকে, করোনার প্রভাব পড়ার সাথে সাথে খাদ্য সহায়তা দিয়ে দরিদ্র মানুষের পাশে ছিলেন সাংবাদিক শিমুল হাসান যুব-শিশু ফাউন্ডেশনের ২০ জন কর্মী। তারা দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী, মাস্ক, উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।
লোহাগড়া পৌর প্রেস ক্লাবের সভাপতি শিমুল হাসান, পৌর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুজ্জামান, সাংবাদিক শিমুল হাসান যুব-শিশু ফাউন্ডেশনের সদস্য আমাদা গ্রামের সাংবাদিক রইচ উদ্দিন টিপু, রাজুপুর গ্রামের সাহেদ মাহমুদ, লক্ষীপাশা গ্রামের সাহেব আলী, সাইফুল্লাহ মামুন, মুছা মোল্যা, গোপীনাথপুর গ্রামের বুলবুল খান, ইয়াছির আরাফাত, পারমল্লিকপুর গ্রামের সেলিম জাহাঙ্গীর, কচুবাড়িয়া গ্রামের মোঃ মোস্তফা কামাল করোনাকালে মানুষের পাশে থেকেছেন। তাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত।
খলিশাখালী গ্রামের বাসিন্দা তরুণ সমাজ কর্মী এসকে, এমডি হাসান। তিনি খলিশাখালী স্পোর্টিং ক্লাবের অন্যতম কর্ণধর। বাড়ির খেয়ে বনে মহিস চরানো স্বভাবের। সকালে বাড়ি থেকে খেয়ে বের হন আর সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ৬০/৭০ জন যুবককে নিয়ে সেবামূলক কাজ করে যান তিনি। করোনাকালে অন্তত আটশত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন খলিশাখালী স্পোর্টিং ক্লাবের মাধ্যমে। তার সেবা টিমে আছে মিরাজ শেখ, কাজী আল মামুন, হাবিবুর, রমিন, কাজী সোহেল, নাহিদ এর মতো তরতাজা তরুণ। এখানে যেন তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই বল। ওরা অদম্য। ওরা মানুষকে খাদ্য দেয়, রক্ত দেয়। ওরা নিপীড়দের পাশে থাকে। ওরা গাছ লাগায়। ওরা সবাই মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
করোনাকালে মানুষের সেবায় কাজ করেছেন মাজহারুল শুভ্র। তিনি চরমল্লিকপুর গ্রামের যুবক। বিভিন্ন গ্রামের দরিদ্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দিয়েছেন। মানুষকে সচেতন করতে মাস্ক বিতরণ সহ নানা সচেতনতামূলক কাজ করেছেন।