ঠাকুরগাঁওয়ে প্রেমিকের ফোনে সাড়া দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার ৯ম শ্রেণির ছাত্রী
সেলিম রেজা,ঠাকুরগাঁও বুধবার সন্ধ্যা ০৬:২৭, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে মধ্য রাতে প্রেমিকের ফোনে সাড়া দিতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী। গত ৩১ শে জানুয়ারী মধ্য রাতে এ ঘটনা ঘটলেও গতকাল মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারী) রাতে মেয়েটিকে পুলিশ হাসপাতালে নিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউনিয়নের আরাজি দক্ষিণ বঠিনা গ্রামের হারাগাছ পাড়ায়।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগি পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান মেয়েটির দুলাভাই মো: সোহেল রানা।
পাশবিকতার শিকার স্কুল ছাত্রীটির পিতা মো: নূরে হাফিজ জানান, ঘটনার দিন রাত ১২ টার দিকে পরিবারের সকলে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে।পরে রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে তিনি বাড়ীর আঙিনায় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন তার মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝড়ছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আচড়ের চিহ্ন।
পরে রাতেই ঢোলারহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক লিজা বিশ্বাসের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি অবগত করেন। পরদিন সকালে স্থানীয় মেম্বার ও মেয়েকে নিয়ে রুহিয়া থানায় অভিযোগ দিতে গেলে সারাদিন বসিয়ে রেখে সন্ধ্যায় পুলিশের গাড়ীতে ভুক্তভোগি মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালের বেডে কান্নাজড়িত কন্ঠে মেয়েটি জানান, ঘটনার দিন তার প্রেমিক বাড়ী পুরাতন ঠাকুরগাঁও (দেবিগঞ্জ), ঠাকুরগাঁও ইসলামনগর হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সুজন এর ফোন পেয়ে বাড়ীর সকলের অগোচরে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে।
পরে তাকে মটরসাইকেল যোগে একটি মুরগীর খামারের ভিতরে নিয়ে গিয়ে সুজন, আশরাফুল, বিপ্লব, আরিফসহ চার-পাঁচজন মিলে পাশবিক নির্যাতন চালায়।এসময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, পরে জ্ঞান ফিরলে দেখে সে তার বাড়ীর পাশের রাস্তায় পড়ে রয়েছে। পরে সেখান থেকে কোনরকমে সে বাসায় পৌঁছায়। এসময় মেয়েটি তার এ ঘটনার জন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানায়।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় বলেন, লিখিত অভিযোগ পাইনি।মেয়েটির বর্ণনামতে ঘটনাস্থল সনাক্ত করা হয়েছে, আসামীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।এছাড়া মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট করার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।