গৌরীপুরে পেঁয়াজের দাম দিগুণ
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর(ময়মনসিংহ) বুধবার বিকেল ০৪:০৫, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
গৌরীপুরের বাজারগুলোতে মঙ্গলবার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের দাম বেড়ে দিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। যে পেঁয়াজ সোমবার রাত পর্যন্ত ৪০-৪৫ টাকা বিক্রয় করা হতো সেই পেঁয়াজই মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বিক্রয় হয় ৭০-৯০ টাকা কেজি দরে।
সোমবার ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, “অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বেড়ে গেছে এবং ঘাটতি রয়েছে। মওসুমের কারণে এই ঘাটতি দেখা দিলেও কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেই গত কয়েক মাসে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি হয়েছে।” ওই কর্মকর্তার বক্তব্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে দেখার পরপরই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী বলছেন, পাইকারী বাজারে বাড়তি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে বলেই আমাদেরকে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারী ব্যবসায়ীদের দোকানে কোন পেঁয়াজ নাই। হঠাৎ করেই পেঁয়াজ উদাও হয়ে গিয়েছে। কয়েকজন পাইকারী ব্যবসায়ী জানান, হিলি স্থল বন্দর দিয়ে যে পেঁয়াজ আমদানী হতো সেই পেঁয়াজ আমদানী করা যাচ্ছে না বলেই বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেছেন, ঘোষনার সাথে সাথেই পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ সরিয়ে ফেলে এবং দাম বাড়িয়ে স্থানীয় বাজারে ঘাটতি তৈরী করে বাড়তি দামে বিক্রি করছে।
গৌরীপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার দায়ে ভোক্তা অধিকার আইনে ১টি দোকানে ৮ হাজার টাকা ও অন্য ২টি দোকানে ১ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, নিয়মিতই এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের সেপ্টেম্বরেও ভারত যখন পেঁয়াজ রপ্তানী বন্ধ করে দেয় তখনই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছিলো। তখন ৫০-৬০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রয় করা হয়েছিলো।