সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পেঁয়াজ আমদানিতে সিন্ডিকেট আশঙ্কা, আইপি উন্মুক্তের দাবি
এস এম সাখাওয়াত
বুধবার সকাল ০৯:১৪, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে ইমপোর্ট পারমিট বা আইপি দেয়া বাতিল করে উন্মুক্ত আইপি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানী রফতানী কারক গ্রুপ। মঙ্গলবার দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে অবস্থিত আমদানী রফতানীকারক গ্রæপের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান তারা। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমদানি রফতানিকারক গ্রæপের সভাপতি একরামুল হক।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে নেতার বলেন, প্রায় সাড়ে ৪ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের ১৪ আগস্ট সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে কয়েকজন আমদানিকারককে ৫০ মেট্রিক টন করে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হলেও মাত্র দুই দিন পরে আবারও অনুমতি দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু সম্প্রতি আদালতের মাধ্যমে রিট করে পেঁয়াজ আমদানির আইপি দেয়া হয়েছে। এতে মাত্র কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়বে পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম। অর্থাৎ সিন্ডিকেট প্রথা চালুর একটি অশুভ লক্ষণ প্রচলিত হতে যাচ্ছে আমদানীতে। ফলে এর প্রভাব পড়বে পেঁয়াজের বাজারে। এ জন্য পেঁয়াজের আইপি উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানান তারা।
আমদানিকারকরা দাবি করেন, আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের দাম ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে আদালতের মাধ্যমে কয়েকজনকে আইপি দিলে সরকারের আমদানির উদ্দেশ্য সফল হবে না। উল্টো আইপি উন্মুক্ত করলে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ নিয়ে আসতে পারবে এবং বাজারে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ সরবরাহ হবে। অর্থাৎ আমদানি বাড়লে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ভোক্তাদের নাগালের ভেতরে থাকবে বলে দাবী তাদের।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আরিফ উদ্দীন ইতি, আমদানিকারক আব্দুল আওয়ালসহ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থ বছরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গত ১৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ১৭৮ জন আমদানিকারক ৫ হাজার ২৫২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন।


