চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মেয়র কাউন্সিলরসহ ২৬ জন কারাগারে
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোমবার সন্ধ্যা ০৬:১১, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, সার্ভেয়ারসহ মোট ২৬ জন আসামীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারধরের অভিযোগে হওয়া মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত।
সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এমএম হুমায়ন কবির এই আদেশ প্রদান করেন।
রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি খান, দুইজন কাউন্সিলর মো. মুন্না ও মো. সাদেক আলী এবং পৌরসভার সার্ভেয়ার বারিউল ইসলামসহ ২৬ জনকে আসামীর সকলকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌরসভার নুনগোলা প্রসাদপুর মহল্লার মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মারধর ও জমি থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে এপিপি আঞ্জুমান আরা জানান, রহনপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা বেগম জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায় মারধরের অভিযোগ এনে রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমানসহ ২৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার দুপুরে মেয়রসহ ২৬ জন আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। এ সময় আদালতের বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর না করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বাদি নাজমা বেগম মামলায় অভিযোগ করেন, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর মেয়র মতিউর রহমান মতি খানসহ তার লোকজন নিয়ে নাজমা বেগমের নিজস্ব জমিতে হামলা করে। এ সময় তার ছেলেদেরকে মারধর করে মেয়রের লোকজন। এছাড়াও পাকা দেয়াল ভেঙে পড়ে থাকা নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে যায় মেয়রের লোকজন। হামলার পর মেয়রের বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন মামলার বাদি নাজমা বেগম। পরে এ নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলার আবেদন করেন নাজমা বেগম।
মামলার বাদি নাজমা বেগমের বড় ছেলে নাজমুল ফেরদৌস মুঠোফোনে জানান, আমাদের নিজের জমির উপর মেয়র অহেতুক জুলুম করেছে। এমনকি গুন্ডা-মাস্তান নিয়ে এসে হামলা করে আমাদের সীমানা প্রাচীর ভেঙেছে। যা সম্পূর্ণ অন্যায়। এমনকি এসবের পর প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছিলো আমাদের পরিবারের সদস্যদের। তাই বাধ্য হয়েই আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। পরে মামলা করা হলে আজকে আসামীরা জামনি আবেদন করলে আদালত না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামীরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেরার নুনগোলা প্রসাদপুর মহল্লার মৃত সেতাব উদ্দিনের ছেলে আকবর আলী, মৃত ইসমাইল কাদরীর ছেলে জামিল আলম কাদরী, তার ভাই বকুল কাদরী, মুকুল কাদরী, একই এলাকার মৃত সাদিকুলের ছেলে মো. নূর, মৃত ভদু মন্ডলের ছেলে অনু, মাদরাসা মোড়ের সাত্তারের ছেলে আতিক, একই এলাকার নাদিম ওরফে টুটুল, মুনুর ছেলে বুলু, কলোনী মোড়ের মৃত কসিমুদ্দিনের ছেলে নাজু, উদয় নগরের বাবলুর ছেলে কাশেম, লতিফের ছেলে রুবেল, মালেকের ছেলে শাহিন, বড়বাজারের মুনসুরের ছেলে পরাগ, যাতাহারার আমিনের ছেলে শরীফ, আফজালের ছেলে মাহিদুর, জালালের ছেলে রফিক, মৃত ভন্ডুল মন্ডলের ছেলে লুথু মন্ডল, কাউয়ুম মাস্টারের ছেলে সাউন, মেসাহাক খানের ছেলে হাবিবুর হবি এবং আফজালের ছেলে রবি।