আবু ইউসুফ,নওগাঁ শনিবার দুপুর ০১:৫৮, ৬ মার্চ, ২০২১

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল এর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে পারিবারিক ও দলীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে শনিবার মরহুমের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার চকপ্রাণ মহল­ায় তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরানখানি, মিলাদ মাহফিল ও মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া একইদিন বাদ জোহর শহরের ঠিকানা কমিনিউটি সেন্টারে দোয়া ও মধাহৃ ভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

মরহুমের একমাত্র ছেলে নওগাঁ সদর আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন বলেন, আমার পিতা আব্দুল জলিল আধুনিক নওগাঁর রূপকার। জেলার সকল উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে তাঁর অবদান রয়েছে। শুধু তাই নয় জাতীয় পর্যায়ে তিনি অনেক গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। আব্দুল জলিল স্বৈরাচারীদের বহু প্রলোভন, জুলুম, ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি এলাকাবাসীর কল্যাণ ও উন্নয়নে সদা-সর্বদাই সচেষ্ট ছিলেন। তিনি ছিলেন নওগাঁর গণমানুষের নেতা। এদিকে নওগাঁ নিয়ে মহান এই নেতার যেসব স্বপ্ন এখনও পূর্ণ হয়নি আগামীতে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

উলে­খ্য, মো. আবদুল জলিল ১৯৩৯ সালের ২১ জানুয়ারি নওগাঁর সদর উপজেলার চকপ্রাণ মহল­ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৬০ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) এবং ১৯৬৪ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ নম্বর সেক্টরের মুখ্য সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে নওগাঁ সদর আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। আবদুল জলিল পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯৬ সালে প্রেসিডিয়াম সদস্য, ২০০২ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য হিসেব দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালে ৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।