আকস্মিক নদী ভাঙনের শিকার তিস্তা পাড়ের মানুষ
সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম শনিবার রাত ১০:২৭, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
ভয়াবহ তিস্তার তীব্র ভাঙনে গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে কাশিম বাজার- উলিপুর সড়কের চর বজরা এলাকার পাকা সড়কের প্রায় ১ হাজার ফুট রাস্তার বেশিরভাগ অংশ নদীতে দেবে গেছে। এর আগে রাস্তার পশ্চিমাংশে টেপরির মোড় এলাকায় তিস্তা নদীতে আকস্মিক ভাঙন শুরু হলে মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে প্রায় দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ী, আবাদী জমি সহ চর বজরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কদমতলা নকিয়ার পাড়া জামে মসজিদ, সাদুয়া পাড়া জামে মসজিদ, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ, উলিপুর-কাশিম বাজার পাকা সড়কের ১ হাজার ফুট নদীতে চলে গেছে।বর্তমানে উলিপুরের সাথে কাশিমবাজার এলকার সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য আগে-ভাগে পাউবো‘র প্রকৌশলীরা কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা নামে মাত্র বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করলেও তা কোন কাজে আসছেনা।
এদিকে, সর্বস্ব হারিয়ে ভাঙন কবলিত পরিবারের মানুষজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করছে। ঘর-বাড়ী হারা সর্বশান্ত মানুষের আহাজারীতে এলাকার বাতাস যেন ভারী হয়ে উঠছে।
সরেজমিনে শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার চর বজরা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক বসত-বাড়ী, আবাদী জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে চলে গেছে।১টি মসজিদ, ১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ হাজার ফুট পাকা রাস্তা ও অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর নদী ঘর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এছাড়াও চর বজরা লাগোয়া পার্শ্ববর্তি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাশিম বাজার এলাকার নাজিমাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়,নাজিমাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,নাজিমাবাদ আলিম মাদরাসা, কাশিম বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ২টি মসজিদ সহ সরকারী বেসরকারী কয়েকটি পাকা অবকাঠামো ও বিশাল জনবসতি পূর্ন এলাকা ও আবাদি জমি নদীর তীব্র ভাঙ্গনে চরম হুমকির মুখে রয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, জেলার ১‘শ টি এলাকায় ভাঙনরোধে জরুরি কার্যক্রম চলছে। ভাঙন রোধে ১০ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং চলছে, প্রয়োজনে আরো ডাম্পিং করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।