ঢাকা (সকাল ৮:২৮) রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News লোহাগড়ায় ন্যাশনালিষ্ট ব্লাড ব্যাংকের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান Meghna News ট্রমালিংক ১০ বছর পূর্তিতে মতিন সৈকত এআইপিকে সন্মাননা Meghna News সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ একগুচ্ছ সুপারিশ সংস্কার কমিশনের Meghna News গণহত্যায় অভিযুক্ত আ.লীগের কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে না Meghna News বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন Meghna News সুন্দর ব্যবহার ও আচরণের বিনিময়ে জান্নাত! Meghna News আল্লাহর পথে আহ্বানকারীর জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার Meghna News ভঙ্গুর শিক্ষা ব্যবস্থা দ্রুত সংস্কার করবো: ভিসি আমানুল্লাহ Meghna News গৌরীপুরে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের বর্ণিল বিদায় সংবর্ধনা Meghna News স্বামীর মধুময় স্মৃতি রোমন্থনে দিন কাটছে স্ত্রী মারজিনার

১৩৫ বছর আগের সেই লাতুর ট্রেন ফের আসছে!

ইবাদুর রহমান জাকির,সিলেট ইবাদুর রহমান জাকির,সিলেট Clock বৃহস্পতিবার দুপুর ০৩:০৮, ১২ নভেম্বর, ২০২০

ফিরছে ১৮৮৫ সালের ফিরছে সিলেট এবং আসামের রেলপথ। ওপারে লাতু-মহিষাশন, কুকিতাল- বিলবাড়ি সীমান্ত। বিপরীতে সিলেটের বিয়ানীবাজার সুতারকান্দি-নয়াগ্রাম হতে জুড়ি উপজেলার শিলুয়া সীমান্ত। কিন্তু বড়লেখা এবং ‘লাতু ট্রেনে’র নামযশ আবার ছড়িয়ে পড়বে। মাঝখানে ১৩৫ বছরের পর্দা। সেটি উঠবে, সীমান্তের দুপাশেই তার তোড়জোর চলছে। গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য যোগাযোগের হাব হবে মহিষাশন জংশন। করোনার বিরতির পরে আসামে পুনরায় পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে রেলরুট। আশা করা হচ্ছে ২০২১ সালের মাঝামাঝি বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে মহিষাশন। সেদিনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন আসামসহ সেভেন সিস্টার্সের হাজারো মানুষ। এই রেলপথের ইতিহাস অনেক পুরনো।

৫২ দশমিক ৫৪ কিলোমিটারের রেলপথটি ১৮৮৫ সালে বেঙ্গল ও আসাম রেলওয়ের অংশ হিসেবে মৌলভী বাজার কুলাউড়া-শাহবাজপুরের মধ্যে চালু হয়েছিল। যা কিনা সিলেটের বড়লেখা উপজেলার লাতু সীমান্ত দিয়ে কুলাউড়া রেল জংশন হয়ে যাতায়াত করতো। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পরে কুলাউড়া-শাহবাজপুর চলাচলকারী একমাত্র ট্রেনটি স্থানীয় জনসাধারণের কাছে ‘লাতুর ট্রেন’ নামে পরিচিত ছিল। ২০০২ সালের ৭ জুলাই এই রুটটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ সরকার ২০১৫ সালের ২৬ মে ৬৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ পুনস্থাপন প্রকল্প অনুমোদন করে । এর মধ্যে ১২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা বাংলাদেশ এবং ৫৫৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা দেবে ভারত। একই বছরের ৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরকালে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

তবে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল প্রকল্পের অধীনে এবং ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে পুনর্বার জেগে উঠছে মরচে পড়া ইতিহাস। কালের সাক্ষী এই রেলপথ। এটি বড়লেখা থানার শেষ প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করবে আসামের মহিষাশনে। এই রেলপথ নির্মাণে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে সঙ্গে চুক্তি হয় ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালিন্দী রেল কোম্পানির। ভারতের লাইন অফ ক্রেডিটের অর্থায়নে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪৪ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬৪০ টাকা। এতে মোট ৪৪ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার মেইন লাইন এবং ৭.৭৭ কিলোমিটার লুপ লাইন সংস্কার হবে।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৪ মাসের মধ্যে এসব কাজ শেষের কথা ছিল। চুক্তির পর প্রকল্পটির কাজ ২০১৮ সালের মে মাসের শুরু হয়েছিল। যা শেষ হবার কথা ছিল গত মে মাসে। অবশ্য করোনাসহ নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। এরপর গত অক্টোবরে নতুন করে ছয় মাস মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী আগামী মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু স্থানীয় সংবাদদাতারা বলছেন, ডিসেম্বরে ওই রুটে ট্রেনের হুইসেল বাজবে না। কারণ বেশ কয়েকটি ব্রিজের আংশিক কাজ বাকি। ইয়ার্ডের নির্মাণকাজও অসম্পূর্ণ। করোনায় দীর্ঘ ছয় মাস কাজ বন্ধ ছিল।

চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে সরাসরি পণ্য আসবে যাবে আসামে। আশেপাশের রাজ্যের জন্যও কলকাতা থেকে আসবে পণ্যবাহী ট্রেন। সবটাই সিলেটের মাটি স্পর্শ করেই।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT