ঢাকা (রাত ৯:২৮) মঙ্গলবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনের অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা নষ্ট

মোঃআতিকুর হাসান,আদমদিঘী,বগুড়া মোঃআতিকুর হাসান,আদমদিঘী,বগুড়া Clock সোমবার রাত ১১:৫৩, ১১ জানুয়ারী, ২০২১

দেশের উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহি রেলওয়ে জংশন স্টেশনটি হচ্ছে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন । ১৮৮০ সালে এই রেলওয়ে জংশন স্থাপিত হলেও ১৯০০ সালের দিকে নির্মাণ করা হয় স্টেশনের সকল অবকাঠামো। এরপর থেকে সেবা দিয়ে আসছে জংশনটি। কিন্তুু অন্যান্য স্থানের জংশনের অবকাঠামোগত সব কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও সান্তাহার জংশনে এখন পর্যন্ত কোন ছোঁয়াই স্পর্শ করেনি। এমনকি স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষে পুরো জংশনে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়। উক্ত জংশনের সবকিছু স্টেশন মাষ্টারের কক্ষে থেকে পর্যবেক্ষণ করার নিমিত্তে পুরো রেলওয়ে জংশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৯টি সিসি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়।

কিন্তুু বর্তমানে ১২টি ক্যামেরা সচল থাকলেও অবশিষ্ট ক্যামেরাগুলো প্রায় ২সপ্তাহ যাবত অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অথচ এখন পর্যন্ত এই ক্যামেরাগুলো মেরামত কিংবা সচল করার লক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা না থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেলওয়ে জংশনে যদি কোন বড় ধরনের চুরি কিংবা ছিনতাই হয় অথবা কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে পরবর্তি সময়ে এই সিসি ক্যামেরা থেকে সহজেই অপরাধিদের দেখে চিহ্নিত করা সম্ভব। মূলত স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের লক্ষেই এই সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়েছিলো। এতে করে এই জংশনে কিংবা  আশেপাশের অপরাধি চক্র যখন জানতে পারবে যে স্টেশনের সকল সিসি ক্যামেরা সচল রয়েছে তখন তারাও স্টেশন ও স্টেশনের আশেপাশে যে কোন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করা থেকে বিরত থাকবে।

এছাড়াও স্টেশনের চারপাশে কোন মজবুত নিরাপত্তা প্রাচীর না থাকায় অপরাধিরা স্টেশনে যে কোন ধরনের কর্মকান্ড করে খুব সহজেই এদিক-সেদিক দিয়ে পালিয়ে যেতে পারছে। তাই পুরো জংশনের চারপাশের জায়গা উদ্ধার করে যদি শক্ত ভাবে তার দিয়ে নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করা হয় তাহলে উক্ত জংশনে যাত্রী সেবার মান আরো কয়েকগুন বৃদ্ধি পাওয়াসহ জংশনের নিরাপত্তা বেষ্টনীও অনেক শক্ত হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এতে করে জংশনের যাত্রী সাধারনদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেকটাই নিশ্চিত হবে কারণ তখন কোন অপরাধি কোন কিছু করে আর সহজে জংশন থেকে বের হতে পারবে না। সান্তাহার রেলওয়ে জংশনে আসা যাত্রী রফিকুল ইসলাম, সুনিল চন্দ্রসহ অনেকেই সাংবাদিকদের জানান, যদিও বা সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেকটাই ভালো হয়েছে।

কিন্তুু যখন অপরাধি চক্রের সদস্যরা এবং সন্ত্রাসীরা জানতে পারবে যে স্টেশনের সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট তখন তারা আরো তৎপর হয়ে উঠবে। তাই সান্তাহার জংশন এর যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি সিসি ক্যামেরাগুলো মেরামত এবং সব সময় সচল রাখা খুবই জরুরী। কারন জংশন হচ্ছে অত্যন্ত জংশন এলাকা জনগুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান।

সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার হাবিবুর রহমান বলেন প্রতিদিন এই জংশনে থেকে এবং স্টেশনের উপর দিয়ে গড়ে প্রায় ৩৫টি ব্রড ও মিটার গেইজ ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। তাই প্রতিদিন দিন-রাত মিলে হাজার হাজার মানুষ এই জংশনের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। সেই হিসেবে জংশনে যাত্রী সেবার মান তেমন ভাবে বৃদ্ধি পায়নি। উক্ত জংশনে চরম জনবল সংকট হয়েছে। তবুও আমি সব সময় জংশনটি সচল রাখার চেষ্টা করে আসছি। অচল সিসি ক্যামেরাগুলো সচল করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিয়েছি কিন্তুু কোন লাভ হয়নি।

 




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT