সাঘাটায় মাঠের লীজ বাতিলের দাবিতে সোচ্চার এলাকাবাসি
আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা রবিবার সন্ধ্যা ০৬:৪১, ২৯ মে, ২০২২
আহাদ, সিয়াম, সাজিদ, আদিত্য, শুভ এরা কখনো ক্রিকেট খেলে; আবার কখনো ফুটবল খেলে। সবাই এরা কোমলমতি শিশু খেলোয়ার। এরা সমস্বরে বলে উঠে, আমরা এই মাঠেই খেলবো, আমাদের আশেপাশে আর কোন খেলার মাঠ নেই, মাঠটি আমাদের দখলমুক্ত করতেই হবে।
এদের দাবির সাথে প্রতিবাদে মুখর উঠেছে, ভরতখালী রেলকলোনিসহ পুরোভরতখালী ইউনিয়নের শিশু, কিশোর, বয়োজৈষ্ঠ, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠনের নেতৃস্থায়ীরা সবাই। দাবি আদায়ে তারা সোচ্চার।
ঘটনাটি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা ভরতখালী বন্ধ রেলষ্টেশনের পশ্চিম পাশে বিশাল খেলার মাঠকে নিয়ে। এ খেলার মাঠটি ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত হয়; মূলত রেলে চাকুরীরত কর্মকর্তা কর্মচারীর সন্তানদের ক্রীড়া চর্চার জন্য। কিন্তু বিগত সময়ে ফুলছড়ির তিস্তামূখ রেলঘাটটি স্থানন্তরিত হলে ভরতখালী রেলষ্টেশনটি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সেই সুযোগে ঐ এলাকার স্থানীয় জনৈক্য জহুরুল ইসলাম ২০০১ সালে ধানী জমি দেখিয়ে, বাংলাদেশ রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে লীজ নেয়। বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ধামাচাপা ছিলো।
এদিকে চলতি মাসের ১৬ মে ঐ মাঠে খেলতে গেলে জনৈক্য জহুরুল বাধা প্রদান করে ও মাঠ দিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করে। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এর জের ধরে জহুরুল মেডিকেল রির্পোট নিয়ে সাঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ায় মাঠের স্থানীয় লোকজন আরো ক্ষিপ্ত হয়।
এদিকে গত ২৬ মে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আপামর জনসাধারন ফুসে উঠে, ব্যানার ফেসটুন হাতে নিয়ে মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সকলের দাবি একটাই খেলার মাঠটির লীজ বাতিল করতে হবে। খেলার মাঠটিতে যেন সবাই খেলতে পারে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া আবু সাদাত বলেন, অবিলম্বে খেলার মাঠটির লীজ বাতিল করতে হবে। ভরতখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, খেলার মাঠটির লীজ বাতিল করার জন্য ইউএনওকে অবহিত করা হয়েছে। সেই সাথে রেলের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে রেলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।
তবে গাইবান্ধার দায়িত্বে থাকা রেলের কানুনগো গোলাম নবী বলেন, আমাদের আমলে মাঠটি লীজ দেওয়া হয়নি। তবে মাঠটি সম্পর্কে জানার পরে তার খাজনা গ্রহন করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, লীজ বাতিলের ব্যাপারটি একমাত্র চীফ-এ্যাষ্টেট অফিসার করতে পারবেন।