মেঘনায় জুতা পায়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ছবি ধারণ
মো. ইব্রাহীম খলিল মোল্লা, মেঘনা (কুমিল্লা) বুধবার দুপুর ০২:১৯, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মুজাফফর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে জুতা পায়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও সেল্ফি তুলতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কিশোর-কিশোরীদের। বুধবার (২১শে ফেব্রুয়ারি) সকালে বিদ্যালয়ে নির্মিত শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ে কর্মরত এক শিক্ষক বলেন, এ সময় মুজাফফর আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক মামুনুর রশীদ, মাকসুদা আক্তারসহ কম্পিউটার অপারেটর সাদেক মুন্সির উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের জুতা পায়ে দিয়ে শহীদ মিনারে হাটাহাটি ও মোবাইলে ছবি ধারণ করতেও দেখা গেছে।
এমন কর্মকাণ্ড দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহীদ মিনারে উপস্থিত হওয়া এলাকার সচেতন ব্যক্তিবর্গ। তারা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়ে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা এনে দিয়েছিলেন। তাদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারে জুতা পায়ে প্রবেশ কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসজ উপজেলার বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম বলেন- বিষয়টি দায়িত্বহীনতা বলে আমি মনে করি, জাতীয় কর্মসূচি ঘিরে একটি উপকমিটি করে দিলে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতনা। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা ফুল দিয়ে সকালেই যার যার মতো করে চলে আসছি। কোনো শিক্ষকের উপস্থিতিতে এরকম ঘটনা ঘটেনি। হয়তো বহিরাগতরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদিকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.ফারুক হোসেন রিপন বলেন, শহীদ মিনারে জুতা পায়ে প্রবেশ করে তারা শহীদদের প্রতি অশ্রদ্ধা ও অমর্যাদা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন এটা নিয়মবহির্ভূত, অমার্জিত, আমি এখনি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছি।