বড়লেখায় চুরি মোটরসাইকেল কোম্পানীগঞ্জে উদ্ধার; গ্রেফতার ১
মোঃইবাদুর রহমান জাকির শুক্রবার রাত ০২:০৮, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মৌলভীবাজারের বড়লেখা পৌরশহর থেকে দিনে-দুপুরে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য আলমাছ উদ্দিন ওরফে সাজু (৩০)-কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
সিলেট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহযোগিতায় তাকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বুরদেউ (থানা বাজার) এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাজু কানাইঘাট উপজেলার ছোট মির্জারঘর গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে; বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জিয়াউল হকের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে; গ্রেফতার আলমাছ উদ্দিন ওরফে সাজু। পরে তাকে মৌলভীবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বড়লেখা পৌর শহর থেকে তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ নামক বড়লেখা সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতার মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। ওই দিন দিবাগত রাতে ফরহাদ বড়লেখা থানায় মামলা করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বড়লেখা থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহযোগিতায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বুরদেউ (থানা বাজার) এলাকার কাইয়ুম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে অভিযান চালায়।
এসময় ফরহাদের চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ খোলার সময় হাতেনাতে আলমাছ উদ্দিন ওরফে সাজুকে আটক করা হয়। সাজু পুলিশের কাছে আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বড়লেখা থানার এসআই স্বপন কান্তি দাস বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতার মোটরসাইকেল চোর সাজুকে আদালতে সোপর্দ করেন। সেখানে চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, মোটরসাইকেল চুরির মামলার পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট জেলা ডিবি পুলিশের সহায়তায় কোম্পানীগঞ্জ থেকে আলমাছ উদ্দিন ওরফে সাজুকে গ্রেফতার করা হয়। আলমাছ তার ওয়ার্কশপে চুরি হওয়ায় মোটরসাইকেলটির যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করছিল। এসময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
আলমাছ আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও একাধিক চোরের নাম বলেছে। এছাড়া চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে।
আলমাছ মোটরসাইকেল চুরিতে সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি; চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে অন্যত্র বিক্রি করে।