অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা
মোঃ জাকির হোসেন, মৌলভীবাজার সোমবার রাত ১১:১৬, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০
পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে নয়টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১২ নং গিয়াস নগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ভুজবল গ্রামের মৃত খোকা চন্দ্র দাশের ছেলে ব্যবসায়ী সজল চন্দ্র দাস কে গোপাল দাস ও তার দলের লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় যে এক সপ্তাহ আগে সজল দাসের বাড়ির সামনের সরকারি রাস্তার পাশের গাইড ওয়ালের নিচ থেকে মাটি তুলে নিয়ে যায় গোপাল দাস, কিন্তুু সেই মাটি তুলে নিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই গাইড ওয়ালটি ধসে পড়ে যাওয়ার কারনে সরকারি রাস্তাটির স্থায়ীত্ত হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ার আশংকায় আছে বলে সজল দাসের বড় ভাই কানাই দাস প্রতিবাদ জানালে গোপাল দাস ও তার লোকজন খোকা দাসকে আক্রমন করে মারধর করিলে খোকা দাসের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন এসে খোকা দাস কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় এবং ৩/৪ দিন চিকিৎসা শেষে গতকাল খোকা দাস বাড়িতে যাবার পরই গোপাল দাস ও তার লোকজন রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার ছোট ভাই সজল দাসকে পিটিয়ে হত্যা করে।
স্থানীয়রা জানান সজল দাস মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার তারা পাশা বাজারের রানা সু স্টোরের মালিক সজল দাস প্রতিদিনের মতো রবিবার দোকান বন্ধ করে বাড়িতে আসার আগে বাজারে যান এবং সেখান থেকে রাত নয়টার দিকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওয়ানা দিলে কিছু দুর যাওয়ার পর ভুজবল/নোয়াগাও নামক স্থানে মোঃ সাহনুর মিয়ার বাড়ির সম্মুখে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আগে থেকেই ওতপেতে থাকা গোপাল দাস ও তার লোকজন সজল দাসকে আক্রমণ করিলে ঘটনাস্থলেই সজল দাস মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে।
স্থানীয় প্রতিবেশিরা সাথে সাথে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ কে খবর দিলে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সজল দাসের মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে মৌলভীবাজার সদর থানা পুলিশ।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইয়াসিনুল হক জানান খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সজল দাসের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মৌলভীবাজার ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি বলেন আইনের উপরে কেউ নয় অপরাধী যেই হোক তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।