বগুড়ায় বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতের সবজি
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার বিকেল ০৪:৩৬, ৬ অক্টোবর, ২০১৯
এম.এ. ইউসুফ, বগুড়া: বগুড়ায় উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের শীতের সবজি। আর দাম ভালো পাওয়ায় খুশি সবজি চাষিরা। তবে পাইকারি ক্রেতাদের অভিযোগ পরিবহন খরচ, হাটের টোল বৃদ্ধি এবং পুলিশের হয়রানির কারণে তাদের তেমন লাভ হচ্ছে না।
কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার সবজি চাষে লাভবান হবে কৃষকরা।
বগুড়ায় এবার আগাম সবজি চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া এবং বাজার দর ভালো থাকলে পুরো শীতের সবজিতেও লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন সবজি চাষিরা।
এক চাষি বলেন, চার বিগা জমিতে সবজি চাষ করেছি। এখন যে বাজারে যে দাম আছে, তা থাকলে আমরা লাভবান হবো।
আরেক চাষি বলেন, ৬ থেকে ৭ মণ করে বেগুন উঠেছে। এগুলো ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি।
তবে পরিবহন খরচ, পুলিশের চাঁদাবাজি এবং হাট বাজারগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত টোল হওয়ায়, তেমন একটা লাভ হচ্ছেনা বলে জানান পাইকারি ক্রেতারা। এসব কারণে পাইকারি সবজি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারের পার্থক্যটা বাড়ছে।
পাইকারি এক ক্রেতা বলেন, বাজারে পোটল ১২শ টাকা মণ, মুলা ৮শ টাকা প্রতি মণ, এখন মোটামুখি বাজার ভালোই আছে।
আরেক পাইকারি ক্রেতা বলেন, করলা কিনেছি ১৮শ’ টাকা মণ, এখন এগুলোর কেজি বিক্রি হয় ৫০ টাকা, এতে কেজি প্রতি ২ টাকা লোকশান হচ্ছে। এখন পুলিশের চাঁদাবাজি রাস্তায় অনেক বেড়ে গেছে। গাড়ির কাগজ থাকা সত্তেও, গাড়ি আটকিয়ে বলে, ৫শ’ টাকা দিয়ে যা।
এবার আগাম জাতের যে সবজি চাষ হয়েছে তাতে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। কয়েকদিন পর হাট বাজারগুলোতে প্রচুর শীতের সবজির সরবরাহ হবে বলে জানালেন কৃষি কর্মকর্তা।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শামসুল ওয়াদুদ বলেন, গত কয়েকদিন আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল, এখন আবহাওয়া বেশ ভালো। আমরা আশা করছি, শাক সবজির উৎপাদন এবার অনেক ভালো হবে। এবং সবজির দাম অনেক ভালো। তাই এবার কৃষকরা শাক সবজি বিক্রিতে লাভবান হবে।
জেলার বড় সবজির পাইকারি বাজার মহাস্থান, সুলতানগঞ্জ ও রাজাবাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি ৪৫ টাকা, মূলা ১৫, পটল ২০, বেগুন ২৫, কচুরমুখী ৩০, সীম ৮০, কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ায় এবার প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে শীতের সবজির চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে ৪ হাজার হেক্টর আগাম জাতের।