প্রাণনাশের আতঙ্কে শিশু বাচ্চাদের নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কিশোরগঞ্জের কুলসুম বেগম
রায়হান জামান,কিশোরগঞ্জ বৃহস্পতিবার বিকেল ০৪:৪৮, ৮ এপ্রিল, ২০২১
শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও দেবরকর্তৃক নানাবিধ অত্যাচার-নির্যাতন ও পরিবারের ছোট ছেলে-মেয়েদের প্রাণে মেরে ফেলার আক্রমণ,বৃদ্ধ স্বামীকে নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের ইছাসুর গ্রামের কুলসুম বেগম।
লিখিত অভিযোগ ও কুলসুম বেগমের সাথে কথা বললে জানা যায়, গত ২০ বছর পূর্বে তখনকার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৫নং যশোদল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম ধনু মিয়ার মধ্যস্থতায় কুলসুম বেগম তার বাবার বাড়ির থেকে ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে তার শাশুড়ি কমলা খাতুনের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে কুলসুম বেগম ক্রয়কৃত ভূমিতে বসতবাড়ি ও বিভিন্ন জাতের গাছপালা রোপন করে প্রায় ১২ বছর যাবৎ ৩ছেলে ও ২ মেয়ে শিশুকে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন।
কিছুদিন যাবৎ কুলসুম বেগমের বৃদ্ধ স্বামী আ.বারিক কিশোরগঞ্জ শহরে নৈশ্যপ্রহরী হিসেবে একটি চাকুরিতে যোগদান করলে ফাঁকা বাড়িতে তার শশুর আ.রহমানের পাঁচ ছেলে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ইছাসুর গ্রামের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মো.আনিছ (৪৫), নজরুল ইসলাম (৪২), আ.ছাত্তার (৪০), নবী হোসেন (৩৫) ও মো. ইসলাম উদ্দিন (২৬) কে দিয়ে কুলসুম বেগমের বসতবাড়িতে ইয়াবা, হিরোইন, ফেনসিডিলসহ নানান জাতের মাদকদ্রব্য জমা রেখে বিক্রি করায়। এইসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কুলসুম বেগম বাঁধা দিলে শ্বশুর আ. রহমান ও তার পাঁচ ছেলে কুুলসুম বেগমকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে ছোট ছেলে-মেয়েদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। এবং কুলসুম বেগমের মেয়ে নাঈমা(১১)কে তার কাছ থেকে টেনে নিয়ে উপরে উল্লেখিত তার আপন চাচা মো. নজরুল ইসলাম (৪২) ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে নাঈমা ও তার মা কুলসুম বেগম ডাক চিৎকার করলে আশপাশের মানুষ তাদের রক্ষা করে। পরবর্তীতে কুলসুম বেগমের শাশুড়ি মোছা. কমলা খাতুন তার ছেলেদের নিয়ে কুলসুম বেগমের বসতবাড়িতে লাগানো প্রায় শতাধিক বিভিন্ন ফল ও ঔষধি গাছপালা কেটে তাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে জানা যায়,কুলসুম বেগম এর শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও পাঁচ দেবরই মাদক বিক্রেতা। রাতে মাদক সেবন করে কুলসুম বেগম ও তার ছোট বাচ্চাদের নানারকম অত্যাচার নির্যাতন করে। কুলসুম বেগম গ্রামীণ ভাবে কয়েকটি দেনদরবার করেও এর কোন সুরাহা পায়নি। পুলিশ,র্যাব এসে হুমকিধামকি দেয় পরে আবার যেই সেই হয়ে যায়। আমাদের এলাকাবাসীর দাবি অসহায় পরিবারটিকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচাতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সহযোগিতা ও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।