পদ্মা সেতুর সংলগ্নে শিবচরে পদ্মা নদীতে ভ্রমনতরী উদ্বোধন
মীর এম ইমরান,মাদারীপুর সোমবার রাত ১১:৩০, ৪ জানুয়ারী, ২০২১
মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনায় নদী ভিত্তিক পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে ”জেলা প্রশাসনের উদ্ভাবন, জেলে নৌকায় পর্যটন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে উদ্বোধন করা হলো ভ্রমনতরী।
জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আজ সোমবার সকালে শিবচরে পদ্মা নদীতে ভ্রমণতরী শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার(৪ জানুয়ারী) সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন পদ্মানদীতে নামানো হয়েছে চারটি দৃষ্টিনন্দন নৌকা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, মাদারীপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খায়রুল আলম, শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান আ: লতিফ মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো: সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতু সংলগ্ন শিবচরের কাঁঠালবাড়ী পদ্মা নদীতে ভ্রমনপ্রেমীদের জন্য নৌকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে চারটি নৌকা নামানো হবে। পর্যায়ক্রমে শিগগিরি নদীতে কমপক্ষে ২০ টি নৌকা থাকবে। এসকল নৌকার মালিক স্থানীয় জেলেরা। যারা মাছ ধরার পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য পদ্মানদীর সৌন্দর্য দেখানোর ‘সেবা’য় আগ্রহী তারা ১০/১৫ জন যাত্রীর ধারনাক্ষমতা অনুযায়ী একেকটি নৌকা তৈরি করে নদীতে নামাবে। নৌকাগুলো দেখতে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন করা হবে।
যাত্রীরা নৌকা ভ্রমনে যাতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন, তেমন উপযোগী করে নৌকা তৈরি করা হচ্ছে। এবং পর্যটকদের সুবিধবার জন্য জেলা প্রশাসন নৌকার ভাড়া নির্ধারণ করে দেবেন। নৌকাগুলোতে লাইফ জ্যাকেটসহ ভ্রমন এলাকাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানান।
পদ্মাসেতু সংলগ্ন নদীকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের অগ্রসরে নৌকার ট্রাকিং এর জন্য অ্যাপস্ থাকবে। পর্যটকদের নিয়ে নৌকায় নদীর কোথায় যাচ্ছে তা জানা যাবে। এদিকে মাছ ধরার পাশাপাশি জেলেরা পর্যটকদের সেবা দেবার মাধ্যমে বাড়তি উপার্জন করতে পারবে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান,’শিবচরের চরাঞ্চলের জেলেদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও পর্যটনের বিকাশ সাধনে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এতে করে জেলেদের বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়া পদ্মানদী ও এর চরাঞ্চলের সৌন্দর্য সহজেই উপভোগ করতে পারবে ভ্রমনপ্রেমীরা। নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে পদ্মাসেতু দেখতে পাবে তারা।
এতে করে পদ্মার সৌন্দর্যের পাশাপাশি পদ্মাসেতুও দেখার সুযোগ পাবে।