নওগাঁয় টেন্ডারের আগেই হাসপাতালের মালামাল বিক্রির অভিযোগ, জনতার হাতে আটক
নিজস্ব প্রতিনিধি সোমবার রাত ১০:০৭, ১১ নভেম্বর, ২০১৯
আবু ইউসুফ, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
গোডাউন থেকে টেন্ডারের আগেই পুরাতন আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতিসহ
কয়েক লাখ টাকার মালামাল গোপনে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই
কাজটি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোর্শেদ
মনিরুজ্জামান অত্যন্ত গোপন ভাবে করতে গিয়ে মালামাল জনতার হাতে আটক
হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, রোববার সরকারী ছুটির দিন সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
মালামাল রাখা গোডাউন থেকে বিনা টেন্ডারে কোন কাগজপত্র ছাড়া মান্দা
উপজেলার প্রসাদপুর উপজেলার জগন্নাথ দে নামের এক ঠিকাদার একটি
পিক-আপ ভ্যান ও একটি ট্রলিতে মালামাল উঠানোর সময় স্থানীয়রা টের পায়।
এসময় জনগন ঠিকাদার জগন্নাথকে মালামাল ক্রয়ের কাগজপত্র দেখতে চায়।
ঠিকাদার কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী
অফিসার ও আত্রাই থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই
ঠিকাদারের কাছে নিলামের কাগজপত্র দেখাতে বলেন। ঠিকাদার নিলামের
কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মালামাল বোঝায় দুটি ট্রাক আটক করে
ঠিকাদার জগন্নাথকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তঅ ডাঃ মোঃ মোর্শেদ
মনিরুদজ্জামান বলেন, নওগাঁ জেলা সিভিল সার্জন অফিসে টেন্ডার হয়েছে।
নওগাঁ সিভিল সার্জন আমাকে মুঠো ফোনের মাধ্যমে জানান, টেন্ডারের
কাগজপত্র পরে পাঠানো হবে। তাই আমি মৌখিক নির্দেশনা মতে
ঠিকাদাকে লিষ্ট অনুসারে মালামাল দিয়েছি। টেন্ডার বিষয়ে এতোটুকু
আমার জানা নেই।
আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোসলেম উদ্দিন জানান, বিষয়টি
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাকে জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো
হয় এবং মালামালসহ ২টি যানবাহন আটক করা হয়।
ঠিকাদারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আর অবশিষ্ট মালামাল হাসপাতালে
ফেরত পাঠানো হয়েছে। পরিপূর্ণ টেন্ডারের পর নিয়মানুসারে ওই
মালামালগুলো বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
নওগাঁ সিভিল সার্জন মমিনুল হক বলেন, সরকারী নীতি মালা অনুসারে
টেন্ডারটি এখনো সম্পন্ন করা হয় নাই। টেন্ডারের টাকা ভ্যাটসহ সরকারী
কোষাগারে জমা হয় নাই। শুধু টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। তবে বিষয়টি কেন
এমন হলো তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।