ঢাকা (রাত ৩:৪৬) শনিবার, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

নওগাঁর রাণীনগরে খেজুর রস সংগ্রহে গাছিদের প্রস্তুতি

<script>” title=”<script>


<script>

ছয় ঋতুর সুজলা সুফলা সবুজে ঘেরা শ্যামল বাংলাদেশে রাতের আকাশে ঘন কুয়াশায় যেন বলে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। সূর্যাস্ত যাওয়ার আগে হালকা মৃদু বাতাসে খেজুর গাছে চরে গাছিরা রস সংগ্রহের প্রস্তুতির জন্য গাছ পরিস্কারের কাজ শুরু করেছে। আর সপ্তাহ খানিকের মধ্যেই গাছ থেকে রস সংগ্রহের পর্ব শুরু হবে। কিছুটা আগেই নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় প্রান্তিক জনপদের গ্রামে গ্রামে সকালের শিশিরের সাথে শুরু হয়েছে মৃদু শীতের আমেজ।

গ্রাম বাংলার খেজুর গাছ থেকে আর মাত্র কয়েক দিন পর রস সংগ্রহ করে রস থেকে লালি ও গুড় তৈরির পর্ব শুরু হয়ে চলবে প্রায় মাঘের শেষ পর্যন্ত। খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ দৃশ্য চোখে পড়তে শুরু করেছে। রস ও গুড়ের জন্য রাণীনগর উপজেলার এক সময় খ্যাতি থাকলেও সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে গ্রাম বাংলার প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী খেঁজুরের রসের গুড়। এক সময় অধিকাংশ বাড়িতে, ক্ষেতের আইলে, ঝোপ-ঝারে পুকুর পাড়ে ও রাস্তার দুই ধার দিয়ে ছিল অসংখ্য খেজুর গাছ। কোন পরিচর্চা ছাড়াই অনেকটা প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠতো এই সব খেঁজুর গাছ। প্রতিটি পরিবারের চাহিদা পূরন করে অতিরিক্ত রস দিয়ে তৈরি করা হতো সুস্বাদু খেজুরের গুড়। ইট ভাটার রাহুগ্রাসে জ্বালানি হিসেবে খেজুর গাছের ব্যবহার ব্যবহার বেশি হওয়ার কারণে যে পরিমাণ গাছ চোখে পড়ে তা নির্বিচারে নিধন করায় দিনদিন খেজুর গাছ কমেই যাচ্ছে।

উপজেলার নান্দাইবাড়ি গ্রামের আব্দুল মালেক জানান, আমি প্রতিবছরই এই মৌসুমে এলাকার খেজুর গাছ মালিকদের কাছ থেকে ৪ মাসের জন্য গাছ ভেদে ৩ থেকে ৪ কেজি করে খেজুরের গুড় দিয়ে গাছ গুলো আমি নেই। চাহিদা মত খেজুর গাছ না পাওয়ার কারণে রস কম হওয়ায় আশানুরুপ গুড় তৈরি করতে পাড়ি না। যার কারণে তেমন পোষায় না। তারপরও এবছর প্রায় ৮০ টির বেশি খেঁজুর গাছের মালিকদের সাথে চুক্তি করেছি। তবে যে ভাবে খেজুর গাছ কাটা হচ্ছে অল্প দিনের মধ্যেই এই এলাকায় আর আমাদের ব্যবসা হবে না। বর্তমান বাজারে আখের গুড় চিনি যে মূল্যে বেচাকেনা হচ্ছে তার চেয়ে মানসম্পূর্ন খেজুরের গুড়ের দাম এবছর কিছুটা বেশি হবে বলে আশা করছি। শীত একটু বেশি পড়তে শুরু করলে আত্মীয়-স্বজন আনা-নেওয়া ও পিঠা-পুলির উৎসবে খেজুর গুড়ের দাম ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় সে সময় আমাদের লাভ একটু বেশি হয়। যে পরিমাণে শ্রম দিতে হয় সে পরিমাণে আমরা লাভ করতে পারি না। তবুও পেশাগত কারণে চালিয়ে যাচ্ছি এই ব্যবসা।

 

 

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT