ধর্মপাশায় সরকারি নির্দেশনা না মেনে প্রাপ্ত বয়স্কদের করোনার টিকা দেয়া হলো শিশুদের
মোবারক হোসাইন, ধর্মপাশা, সুনামগঞ্জ বৃহস্পতিবার রাত ০৮:৫১, ১০ মার্চ, ২০২২
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের জিংলীগড়া গ্রামে সরকার নির্দেশনা না মেনে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী অর্ধশতাধিক শিশুকে করোনা ভাইরাসরোধে সিনোভ্যাকের প্রথম ডোজ (টিকা) দেওয়া হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খ ইউনিটের দায়িত্বে থাকা পরিবার কল্যাণ সহকারী মাজেদা খানম হেপী চলতি বছরের ১মার্চ এই টিকা দেওয়ার কাজটি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা শিশুদেরকে দেওয়ায় টিকা নেওয়া শিশুরা জ্বর, মাথা ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় টিকা নেওয়া শিশুদের জীবন ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন অভিভাবকেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১ মার্চ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে করোনা ভাইরাসরোধে সিনোভ্যাকের প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের জিংলীগড়া গ্রামের ইপিআই কেন্দ্রে যান ওই ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ সহকারী মাজেদা খানম হেপি। তিনি ওই কেন্দ্রটিতে শিশুদের উপস্থিতি কম হওয়ায় ওই গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্ধশতাধিক শিশুকে করোনাভাইরাসের সিনোভ্যাক টিকার প্রথম ডোজ দেন।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সিনোভ্যাকের প্রথম ডোজের ওই টিকা ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সীদের দেওয়ার কথা ছিল। জিংলীগড়া গ্রামের শিশুরা মাত্রাতিরিক্তভাবে জ্বর, মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছে এমন খবর পেয়ে গত বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সরেজমিনে ওই গ্রামে গেলে এই খবর বেরিয়ে আসে।
জিংলীগড়া গ্রামের বাসিন্দা রাজু মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের নূন্যতম ৫০ থেকে ৬০ জন ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করলে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়া যাবে।
পাইকুরাটি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খ ইউনিটের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মাজেদা খানম হেপী বলেন, কয়েকজন শিশুকে সিনোভ্যাক্স টিকা দিয়ে আমি ভুল করেছি। তবে এতে শিশুদের কোনোরকম ক্ষতি হবে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এমরান হোসেন বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদেরকে সিনোভ্যাক টিকা দেওয়ার বিষয়টি এখনো সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত হয়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।