ধর্মপাশায় বজ্রপাতে মসজিদের ইমামের মৃত্যু
মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) মঙ্গলবার বিকেল ০৫:১৫, ১ জুন, ২০২১
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় বজ্রপাতে আবদুল খালেক (৫০)নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির বাড়ি উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতুর গ্রামে। তিনি পাশের কাকরহাটি গ্রাম জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে ওই ইউনিয়নের সাতুরের বন্দ নামক স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে এলাকবাসী।
এলাকাবাসী ও ওই ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল খালেক (৫০)পাশের কাকরহাটি গ্রাম জামে মসজিদে ইমামতি করতেন।গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি নিজেদের গরুকে খাস খাওয়ানোর জন্য নিজ গ্রামের সামনে সাতুরের বন্দে যান। এ সময় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের বিকট শব্দ হচ্ছিল।এক পর্যায়ে বজ্রাঘাতে তিনি সেখানে মারা যান। পরিবারের লোকজন মনে করেছেন, আবহাওয়া খারাপ থাকায় হয়তো তিনি বাড়িতে না এসে মসজিদেই রয়ে গেছেন। আর মসজিদের মুসুল্লীরা মনে করেছেন আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে হয়তো ইমাম সাহেব বাড়িতে রয়ে গেছেন। রাত সোয়া আটটার দিকে ওই ইমামের খোঁজে তার এক আত্বীয় কাকরহাটি গ্রাম জামে মসজিদে আসেন।তাকে মসজিদে না পেয়ে তার সন্দেহ হয়।পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে মসজিদের ইমাম সাহেব নিখোঁজ থাকার বিষয়টি মাইকিং করে এলাকাবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
ইমাম সাহেবের স্বজনেরা ও এলাকাবাসী মিলে খোঁজাখোঁজি করে সাতুর বন্দ নামক নামক স্থান থেকে রাত ১০টার দিকে মৃত অবস্থায় ইমাম আবদুল খালেকের লাশ উদ্ধার করেন।বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল দেব বলেন, ওই ব্যক্তির বুকের কিছু অংশ ঝলসে গেছে।কান দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। বজ্রপাতের কারণেই মসজিদের ইমাম আবদুল খালেকের মৃত্যু হয়েছে।