দক্ষিণ সুরমায় চাঁদাবাজী করতে গিয়ে ভূয়া ৩ সাংবাদিক ছাত্র-জনতার হাতে আটক
আবুল কাশেম রুমন বুধবার বিকেল ০৫:৪৫, ২৮ আগস্ট, ২০২৪
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় চাঁদাবাজী করতে গিয়ে ভূয়া ৩ সাংবাদিক ছাত্র-জনতার হাতে আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, ২৮ আগষ্ট ২০২৪ইং (বুধবার) সন্ধ্যায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার গোঠাটিকর বিসিক শিল্প নগরীর (ওয়েন্ডার বেকারীতে)।
সূত্রে জানায়, দৈনিক যুগ যুগান্তর পত্রিকার সিলেট ব্যুরো চীফ কামরুল হাসান জুলহাস ও স্টাফ রিপোর্টার ফেসকবুক পেইজ সিলেটের চিত্রের ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী লাকি আক্তার ওরফে লাকি আহমেদ, দৈনিক বিকেল বার্তার সিলেট প্রতিনিধি রানা নামের ৩ প্রতারক দীর্ঘ দিন সিলেট বিসিকের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পত্রিকার সম্পাদকদের নাম ভাঙ্গিয়ে মাসিক চাঁদা দাবী করে আসছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বিসিকের ওয়েন্ডার বেকারীতে গিয়ে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করলে ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা সাংবাদিকদের ভয়ে বেকারীর মালিককে খবর দিলে মালিক এসে কেন টাকা দাবী করে জানতে চাইলে চাঁদাবাজরা ক্ষেপে গিয়ে বেকারীর মালিকের বিরুদ্ধে সংবাদ করবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন।
ওই সময় বেকারীর মালিক পক্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবগত করলে মুহূর্তে খবরটি ভাইরাল হয়ে পড়লে দলে-দলে ছাত্র জনতা জড়ো হতে থাকেন এবং তাদের আটক করেন ব্যবসায়ীরা। ওই সময় ছাত্ররা এ তিন ভূয়া হলুদ সাংবাদিকদের উত্তম মাধ্যম দিয়ে থাকেন। জনতার রুশানাল থেকে এদের রক্ষা করতে গোঠাটিকর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বিসিকের ব্যবসায়ী ও সিলেটের দৈনিক আধুনিক কাগজের সম্পাদক মঈন উদ্দিন আহমদকে খবর দিলে তিনি এসে উপস্থিত ছাত্র-জনতা ও ব্যবসায়ীদের শান্তনা দেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এবং প্রকাশ্যে ৩ হলুদ সাংবাদিক সকল ব্যবসায়ী ছাত্র-জনতার কাছে ক্ষমা চান এবং ধরণের কাজ করবেন না বলে জানালে জনতা তাদের ছেড়ে দেয়।
সূত্রে জানা যায়, লাকি আহমেদ সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদিকা তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়, সে দীর্ঘ দিন ধরে সিলেটে নানা ভাবে ব্ল্যাক মেইল করে আসছে, দেশে সরকার পরিবর্তনে তার নানা অপরাধ ঢাকতে সাংবাদিকতা পেশা হিসেবে বেচে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অপর দিকে কামরুল হাসান জুলাহাসের গ্রামের বাড়ি জামালগঞ্জে সে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে ২৫ লক্ষ টাকা গ্রাহকের আত্মসাত করে থাকে। দনিক বিকেল বার্তার সিলেট প্রতিনিধি রানা পেশাদার একজন ছিনতাইকারী। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, এরা সিলেটের চিনি কান্ডে অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িতের কাছ থেকে মাসিক ৫২ হাজার চাঁদা সংগ্রহ করে থাকেন।
এদিকে ওয়েন্ডার বেকারীর মালিক জানান, এরা দীর্ঘ দিন ধরে সিলেট বিসিকের অনেক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নানা ভয় ভিতি দেখিয়ে চাঁদাবাজী করে আসছে। আমাকে অনেক দিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছে অবশেষে তাদের মুখোশ উন্মচোন হলো।