তিতাসে ৩৬দিনেও অধরা ধর্ষক ॥ নিরাপত্তা হীনতায় গ্রামছাড়া ধর্ষিতীর পরিবার
মেঘনা নিউজ ডেস্ক বৃহস্পতিবার সকাল ১০:১৩, ১ নভেম্বর, ২০১৮
এমএ কাশেম ভূঁইয়া-হোমনা (কুমিল্লা): কুমিল্লার তিতাসে স্বামী পরিত্যাক্তাকে ধর্ষণের ঘটনায় আল আমিন (৩০) নামে ১ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করায় আসামী পরিবারের হুমকির মুখে গ্রাম ছাড়া এখন ধর্ষিতার পরিবার। ঘটনায় শাক্ষি হওয়ায় মোশারফ হোসেন নামে ১জনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা চেষ্ঠারও অভিযোগ উঠে ধর্ষণকারীর পরিবারের বিরুদ্ধে। মামলা দায়েরের ৩৬ দিনেও একমাত্র ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় চরম নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে পরিবারটি। তবে পুলিশ বলছে মামলার বাদীকে খোঁেজ পাচ্ছে না এবং তারা নিরাপত্তা হীনতায় কি-না, পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মৌটুপী গ্রামের সরকার বাড়ির হালিম সরকারের তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী ও একই গ্রামের ব্যবসায়ী মো. মোশারফ হোসেনের মেয়ে ভিকটিম সন্তানদের নিয়ে পিতার আশ্রয়ে বসবাস করে আসছে। এরই সুবাধে প্রতিবেশী শরীফ আলী খানের ছেলে আল আমিন খানের কুনজর পরে এবং রাস্তাঘাটে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। সুযোগ বুঝে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতের কোন এক সময় ভিকমের বসত ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় ভিকটিমের হাত-মুখ বেধে ফেলে। এরপর মহিলা জেগে গেলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন। উভয়ের দস্তাদস্তির এক পর্যায়ে ভিকটিমের ১৭ মাস বয়সি শিশু মেয়ে জেগে উঠে শোর-চিৎকার দিলে পাশের রুম থেকে পিতা মোশারফ হোসেন দরজা খুলে ডুকার সময় ধর্ষক দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় বিচার না পেয়ে মোকাম কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত নং-৩ অভিযোগ দায়ের করলে আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে অফিসার ইনচার্জ তিতাসকে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রুজু করার আদেশ দেন। আদালতে নির্দেশে আল-আমিনকে একমাত্র আসামী করে তিতাস থানায় মামলা নং ৯/ তাং ২৪.০৯.১৮ইং রুজু করা হয়। তবে মামলা রুজুর ৩৬ আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় এবং আসামী পরিবারের নানাহ হুমকির মুখে গ্রাম ছাড়া রয়েছে ধর্ষিতার পরিবার। সবশেষ গত ২০ অক্টোবর মামলার শাক্ষি মোশারফ হোসেনকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে মৌটুপী স্ট্যাশনে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার চেষ্ঠা করে। তবে আসামী পক্ষের লোকজন অভিযোগ করে মোশারফ হোসেন তাদের দোকানে হামলা দিলে সে আহত হয়।
গ্রামবাসীর সাথে কথা হলে ইসলাম মেম্বার, শামিম খান, মনির খানসহ অনেকেই বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি আমরা পরিস্কার বলতে পারবো না। তবে আল আমিন অনেক ভালো ছেলে। পক্ষান্তরে মেয়েটির একাধিক বিবাহ এবং বিবাহ ভহির্ভূত কেলেঙ্কারী রয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম দৈনিক সংবাদকে বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশে ধর্ষনের অভিযোগে মামলা নিয়েছি এবং মামলা তদন্তাধীন। বাদি কোথায় তাকে তা আমরা জানি না। শাক্ষির উপড় হামলা কিংবা তারা নিরাপত্তা হীনতায় কিনা সে বিষয়েও আমাদের কিছু জানায়নি।