চট্রগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি দ্বীপ উপজেলা হচ্ছে মহেশখালী। এটি বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ। এই দ্বীপকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ এপ্রিল, ২০১৭ খ্রি. ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ মহেশখালি শুভ উদ্বোধন করেন।
মহেশখালীর দ্বীপ আয়তনঃ
মহেশখালী দ্বীপ উপজেলার আয়তন প্রায় ৩৮৮.৫ বর্গ কিলোমিটার। এই আয়তনের মধ্যে রয়েছে ১টি উপজেলা পরিষদ, ১ টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।
এই সমূহ হলোঃ মহেশখালী উপজেলা পরিষদ, মহেশখালী পৌরসভা, ছোট মহেশখালী, বড় মহেশখালী, কুতুবজোম, হোয়ানক,কালারমারছড়া, শাপলাপুর, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি।
দ্বীপ উপজেলার জনসংখ্যাঃ
জনসংখ্যা প্রায় ৩,২১,২১৮ জন।তারমধ্যে পুরুষ ১,৬৯,৩১০ জন এবং মহিলা ১,৫১,৯০৮ জন।
মোট জনসংখ্যার ৯০.০৮% মুসলিম, ৭.৮০% হিন্দু, ১.৩০% বৌদ্ধ এবং ০.৮০% অন্য ধর্মাবলম্বী(২০১১ পরিসংখ্যান)।
মহেশখালী দর্শনীয় স্থানগুলো হলোঃ
আদিনাথ মন্দির , মৈনাক পাহাড়, আদিনাথ নতুন জেটি, বড় রাখাইন পাড়া বৌদ্ধ মন্দির, উপজেলা পরিষদ দীঘি , ছোট মহেশখালী শেখ রাশেল শিশু পার্ক, মহেশখালী পৌরসভা চরপাড়া সী-বিচ,ও প্যারাবন, সোনাদিয়া দ্বীপ।
মৈনাক পাহাড়ঃ সমুদ্রের মাঝখানে মহেশখালী দ্বীপে অবস্থিত আদিনাথ মন্দিরের পাহাড়টির নাম হচ্ছে মৈনাক পাহাড়। আদিনাথ মন্দির সমুদ্রস্তর থেকে প্রায় এটি ২৮৮ ফুট উঁচু মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত।
আদিনাথ মন্দিরঃ মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির এটি উপমহাদেশের আদি তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। প্রত্যেক হিন্দুরা এখানে পূজা করতে আসে থাকেন । আদিনাথ মন্দিরের মৈনাক পাহাড়ে রয়েছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য অন্যতম পর্যটন স্থান।
মৈনাক পাহাড়ের পূর্ব পার্শ্বে প্যারাবনের মধ্যে রয়েছে। আদিনাথ জেটি। যার সৌন্দর্য দর্শকদের মুগ্ধ করে দেয়।
সোনাদিয়া দ্বীপঃ সোনাদিয়া দ্বীপটি কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত। এ দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য অন্যতম পর্যটন স্থান।
সোনাদিয়ার চারদিকে গভীর সমুদ্রের সাগরের ঢেউ সমৃদ্ধ। এ দ্বীপ চারদিকে প্যারাবন দিয়ে গেরা। এ দ্বীপের আয়তন ৯ বর্গ কিলোমিটার।
বৌদ্ধ মন্দিরঃ বৌদ্ধ বিহার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য একটি অন্যতম পর্যটন স্থান।
ছোট মহেশখালীর শেখ রাসেল শিশু পার্কঃ
“শিশুদের মানসিক,শারীরিক বিকাশের জন্য বিনোদনের অবকাশ নেই” কক্সবাজার জেলার পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালী উপজেলা’র ছোট মহেশখালী ইউনিয়নে দৃশ্যমান শেখ রাসেল শিশু পার্ক’র শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ম্যুরাল।
দ্বীপ উপজেলা বিখ্যাতঃ
মিষ্টি পানের জন্য ও মহেশখালী দ্বীপটি পরিচিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম। এ ছাড়া ও শুটকি মাছ, চিংড়ী মাছ , কাঁকড়া চাষ, লবণ উৎপাদনের ক্ষেত্রে মহেশখালী উপজেলাকে আলাদা ভাবে পরিচিত করেছে। লবণ ও পান মহেশখালী দ্বীপের ব্যবসার প্রধান কেন্দ্র করে রয়েছে।
কক্সবাজার সদর থেকে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর দূরত্ব প্রাই ১৫ কিলোমিটার।দ্বীপ উপজেলায় সহজে আসতে স্টিমার নিয়ে আসতে হয়৷