এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৬:০৩, ১২ নভেম্বর, ২০২০
বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শুল্ক স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত সোনামসজিদ শুল্ক স্থলবন্দরে ২০২০-২১ অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হয়নি। আর অর্জিত হয়নি বলেই সরকার হারাচ্ছেন বিপুল পরিমান রাজস্ব।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরের প্রথম চার মাসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১৫৪ কোটি ৮৮ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা। কিন্তু রাজস্ব আয় হয়েছে ১১২ কোটি ৬৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৪২ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা রাজস্ব আয় কম হয়েছে। তবে রাজস্ব আয় কম হবার কারণ জানতে চাইলে সোনামসজিদ শুল্ক স্থলবন্দর কাস্টমস, আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশন, শ্রমিক সমন্বয় সংগঠন ও পানামার নেতারা এক বাক্যে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের অভাবকে দায়ী করেছেন।
যে কারণে ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমে গেছে এবং চলতি অর্থ বছরের প্রথম থেকেই আমদানি-রফতানি কম হবার কারণেই রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রাও অর্জিত হয়নি। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানান অক্টোবর মাসে সোনামসজিদ শুল্ক স্থলবন্দরে আমদানিকৃত পণ্যে শতভাগ রাজস্ব আদায় করার কারণে রাজস্ব আয় লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৭ কোটি ৬২ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা বেশি আদায় হয়েছে। এ সময় রাজস্ব আয় ধরা হয়েিেছলো ৩৭ কোটি ৫১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা। আর রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪৫ কোটি ৫৩ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার সাইফুর রহমান জানান, চলতি মাসে রাজস্ব আয় আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। ফলে আমদানিকারকরা অন্য বন্দর ব্যবহার না করে সোনামসজিদ শুল্ক স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করলে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
এ বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফিকুল ইসলাম বাবুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, দেশের সব স্থলবন্দরগুলোতে সরকার একই নিয়মে রাজস্ব আদায় করলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি হবে এবং রাজস্ব আয়ও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক গুণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও জানান, কোনো কোনো বন্দরে সুযোগ-সুবিধা বেশি পাবার কারণে ব্যবসায়ীরা ওই সব বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করছেন।
ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শুল্ক স্থলবন্দর হিসেবে সোনামসজিদ বন্দরের নাম থাকলেও আমদানীকারক কমে যাবার কারণে এই বন্দরের রাজস্ব আয় কমে যাচ্ছে দিনদিন। আর এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছেন তেমনিভাবে এই অঞ্চলের এক বিশাল জনশক্তি বেকার হয়ে পড়ছে। আর তাই দেশের অন্যান্য বন্দরের মতো এই বন্দরেও আমদানী রপ্তানীর ক্ষেত্রে নানা রকম সুযোগ সুবিধা দেয়া অতি প্রয়োজন বলে মনে করেন সোনামসজিদ শুল্ক স্থলবন্দরের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।