চাঁপাইনবাবগঞ্জকে স্বপ্নের বাসযোগ্য আধুনিক শহর গড়তে চাইঃ-মেয়র প্রার্থী মোখলেসুর রহমান
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৬:৫৬, ৭ অক্টোবর, ২০২১
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সড়ক, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সবুজ ও পরিচ্ছন্ন পৌরসভা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর পরিবেশ দূষণমুক্ত শহর। যে শহরটি বাস্তবিকই পর্যটকদের কাছে অতি জনপ্রিয় এক গন্তব্য হয়ে উঠবে। আধুনিক শহর গড়ে তোলার পাশাপাশি দূর্নীতি ও মাদকমুক্ত, শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠাই হবে আমার মূল লক্ষ্য। নিছকই কোনো কথার কথা নয়, আমি পৌরবাসিকে সাথে নিয়ে সেই স্বপ্নের শহরই গড়ে তুলতে চাই।
এমনই দৃষ্টিনন্দন পৌরসভা গড়ার কথা জানালেন আসন্ন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জননেতা মো. মোখলেসুর রহমান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে তাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দেয়ায় তিনি জাতীর জণক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কণ্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই পৌরসভায় আমার জন্ম। এই পৌরসভার জণগণই আমার মূল ভরসা। আর এই ভোটারদের সঠিক ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পৌর মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে সবাইকে সাথে নিয়ে একসাথে সত্যিকার অর্থে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ঢেলে সাজানো হবে। পৌরবাসির স্বপ্নের শহর বিনির্মানের সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এলাকার উন্নয়নে আমার চিন্তা চেতনা ও সৃষ্টিশীল ধ্যান-ধারনা বাস্তবায়নে সর্বদা অবিচল থাকবো। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্যবর্ধন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দেশের মডেল শহরে পরিণত করা হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আধুনিক ও শৈল্পিক বিভিন্ন ম্যূরাল বা ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে।
আধুনিক চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর গড়তে নাগরিক সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহরের দৃশ্যপট বদলে দেয়ার কথা জানিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত মোখলেসুর রহমান বলেন, আমি প্রথমেই তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবা চালু করব। যাতে করে নাগরিকরা ঘরে বসেই বিল পরিশোধ থেকে শুরু করে নাগরিক সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম ও মৃত্যু সনদসহ অন্যান্য সুবিধা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সহজেই পেতে পারেন। পৌরসভার সব ধরণের কর্মকন্ড ডিজিটালাইজেশন করা হবে। এই পৌরসভাকে দূর্নীতি মুক্ত করা হবে। এছাড়াও জনগণকে তাদের চাহিদার আলোকে সেবা নিশ্চিত করতে আমি বদ্ধ পরিকর। এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের মতামতকে অধিক প্রাধান্য দেয়া হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’ গড়ার প্রত্যয়ে ২০৪১ সালকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়েছে সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা ‘রূপকল্প ২০৪১’। প্রধানমন্ত্রী এক সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ অর্জণে সরকারের উন্নয়ন রূপকল্প বাস্তবায়নের পথ-নকশা হিসেবে নিয়েছেন। এই পথ-নকশা’র আলোকেই ২০৪১ সালে অর্জিত হবে জাতির পিতার ‘স্বপ্নের সোনার বাংলা’। আর সেই পথ ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জকে একটি উন্নত বাংলাদেশের উন্নত পৌরসভা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
মোখলেসুর রহমান আরো বলেন, অর্থনীতি-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি থেকে সবক্ষেত্রেই সমৃদ্ধ এই পৌরসভা। এ শহর একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শহর। শত বছরের পুরোনো এই পৌরসভার রাস্তা, ড্রেনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ অপ্রতুল। সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে উন্নত শহরে পরিণত করা সম্ভব। আর এর জন্য নিকটতম এলাকায় পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও পার্ক তৈরি করা, শহরে সবুজ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, প্রশস্ত রাস্তা তৈরী, ফুটপাত নির্মাণ এবং নিরাপদ আবাসিক এলাকা নিশ্চিত করা। আর এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলেই বাসযোগ্য উন্নত চাঁপাইনবাবগঞ্জ গড়ে উঠবে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এ শহরে পরিকল্পিত নগরায়নের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে। এ শহরকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে আমার একটি নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও সাধারণ নাগরিকদের মতামতকেও গুরুত্ব দিয়ে কর্মপরিকল্পনা সাজানো হবে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্ত মেয়র প্রার্থী মোখলেস আরো বলেন, শহর জুড়ে নিরাপদ ও পরিকল্পিত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা ঢাকা বাসস্ট্যান্ড চালক ও শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে সুবিধা মতো স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে। ঢাকা বাসস্ট্যান্ডকে স্থানান্তর করে যুগোপযোগী ও আধুনিক টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে।
করোনাকালের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এককভাবে দুই-দশজনকে সহযোগিতা করা যায়। কিন্তু একটি গোষ্ঠী বা একটি বৃহত্তর জনপদের সেবায় কাজ করতে হলে নেতৃত্ব প্রয়োজন। এই শহরের সন্তান হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরবাসীর সুখে-দুঃখে সর্বদা পাশে দাঁড়িয়েছি। বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময়ে অসহায়দের মাঝে খাদ্য সহায়তা ও সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ করেছি। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এছাড়া তৃণমূলে কাজ করে পৌরবাসির ভালোবাসা পেয়েছি প্রচুর। আর তাই আমি আশা করবো আগামী ২ নভেম্বর মঙ্গলবার এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে পৌরবাসি তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন।