ঢাকা (দুপুর ১২:০১) সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গৌরীপুরে বিদ্যালয়ের মাঠ যেন বর্জ্যরে ভাগাড়

ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর(ময়মনসিংহ) ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর(ময়মনসিংহ) Clock বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:৩৩, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের শাহগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি পরিণত হয়েছে আবর্জনা-বর্জ্য ফেলার ভাগাড়ে। দেখে মনে হবে, বাজারের ময়লা ফেলার ভাগাড় বা বর্জ্য ফেলার স্থান ও জলাশয়।

উক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে প্রায় ৩ শতাধিক কোমলমোতি শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করে। বিদ্যালয়ের সামনের মাঠটিতে এই সব শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা করার কোন সুযোগ নেই, সেখানে খেলাধূলা করে হাঁসেরা। বছরের বেশির ভাগ সময়ই জলাবদ্ধতা থাকে। বিদ্যালয়ে প্রবেশের পথটিও জলাবদ্ধতার নিচে থাকে।

গত বছর এই মাঠে মাছ চাষ করা হয়েছে । বছরের অধিকাংশ সময় খেলাধুলা থেকে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত থাকলেও নজর নেই কর্তৃপক্ষের। প্রায় বছরজুড়ে পানির নিচে থাকায় বন্ধ হয়ে আছে শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা। ২০০৬ সালে স্কুলের এই ভবনটি নির্মানের পর প্রায় ১৪ বছর জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

১৭ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির পুরো মাঠ পানিতে থইথই করছে। করোনায় দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে না। যদি স্কুল খোলা থাকতো তাহলে এই বর্ষায় ভোগন্তিতে পড়তে হতো শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। এই বিদ্যালয়ের মাঠটি খানিকটা নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে বছরের বেশির ভাগ সময়ই পানির নিচে ডুবে আছে। মাঠটি ভরাট করার জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে মৌখিক আবেদন করা হলেও কোনো ফল হয়নি।

বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন ‘বছরের ছয়-সাত মাস মাঠে হাঁটুপানি জমে থাকে। ছোট্ট শিশুরা খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক হাঁটাচলাও করতে পারে না। বিদ্যালয়ে এসে সারা দিন কক্ষে বন্দী হয়ে থাকতে হয়।’ এখন করোনায় বন্ধ তাই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসেনা, গত চার বছর ধরে পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হলেও কিছুই হয়না, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিব উল্লাহ জানান উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।

স্কুলের মাঠটির মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান রিপিয়ারিং এর কাজ শেষ হলে পরে আমি মাঠটির মাটি ভরাটের কাজ করবো। তিনি মাঠটি ভরাটের জন্য দ্রæত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান প্রধান শিক্ষক আমাকে অবহিত করেছেন আমি বলে দিয়েছি ইউএনও স্যার বরাবর লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT