ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:৫৩) শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
শিরোনাম

ক্ষতির মুখে সফল উদ্যোক্তা রেজা



বৈশ্বিক মহামারী করোনার ধকল কাটতে না কাটতেই, বিদ্যুতের আগুনে কপাল পুড়ল জেলার উলিপুর উপজেলার তরুণ উদ্যোক্তা রেজাউল ইসলাম রেজার। বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে এসি , ইনকিউবেটর মেশিন, হাসের বাচ্চা ফুটানোর উর্বর ডিম ও হ্যাচারীর ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। ফলে চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা।

জানা গেছে, গত শুক্রবার (২০ মে) হ্যাঁচারীর রুমে থাকা দুটি এসির যেকোন একটি থেকে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট হয়। মুহুর্তেই বিদ্যুতের আগুনে দুটি এসি, তিনটি ইনকিউবেটর মেশিন, ৬ হাজার হাসের বাচ্চা ফুটানোর উর্বর ডিম ও হ্যাচারীর ঘরটি পুঁড়ে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রন করে।

রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, ২০১৬ সালে লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রায় ৮ লাখ টাকা দিয়ে ছাগলের খামার শুরু করেছিলেন। কিন্তু ছয় মাসের মাথায় ১৫০টি ছাগলের মধ্যে বেশির ভাগ ছাগলই পিপিআর রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।

এরপর ইউটিউব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০০ বেইজিং হাস দিয়ে আবার পথ চলা শুরু করেন। পরে ইউটিউবে বেইজিং হাঁসের ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর পদ্ধতি দেখে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে ৩০০ বাচ্চা ফোটানোর ইনকিউবেটর মেশিন উদ্ভাবন করেন। তার খামারের নামকরণ করা হয় ‘কে আর এল ফার্ম’।

এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে হয়ে উঠেন একজন সফল উদ্যোক্তা। প্রতি মাসে তার আয় হত আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের সর্বস্থরেই ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণ উদ্যোক্তা রেজাউল ইসলাম রেজা।

কিন্ত বৈশ্বিক মহামারী করোনায় ক্ষতির মুখে পড়েন তিনি। করোনার ধকল কাটতে না কাটতেই বিদ্যুতের আগুনের কপাল পোড়ে তার।

বর্তমানে চরম হতাশাগ্রস্থ তিনি। কিভাবে ব্যবসায় ঘুরে দ্বাঁড়াবেন এই চিন্তায় দিন কাটে স্বপ্নবাজ এই উদ্যেক্তার।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT