কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনে এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দীর নেতৃত্বাধীন পূর্ণ প্যানেলের জয়লাভ
রফিকুল ইসলাম,কুষ্টিয়া রবিবার রাত ০৩:৩১, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৪ বছর মেয়াদী নির্বাচন (২০২০-২০২৪)ইং সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্যাভিলিয়নে গ্রহণ করা হয়েছে । মোট ৭০ জন ভোটারের মধ্যে ৬৬জন ভোটার সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ নির্বাচনে আলোচিত ভোটার ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের পদ রয়েছে ৩১ টি। তার মধ্যে বিধান অনুযায়ী পদাধিকার বলে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সভাপতি, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার ও কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সহ-সভাপতি এবং কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া অফিসার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এ কারণে ২৭টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এবছর ২৭টি পদের বিপরীতে দু’টি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ নামে এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দীর নেতৃত্বাধীন প্যানেল ২৭টি পদেই প্রার্থী দিয়েছিল। অপর দিকে মোঃ আমজাদ আলী খাঁনের নেতৃত্বাধীন প্যানেল মাত্র ৯টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে। এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দীর নেতৃত্বাধীন প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী জহুরুল হক চৌধুরী রনজু, আলী হাসান মন্টা, মোঃ মকবুল হোসেন লাবলু ও সেখ সুলতান আহমেদ, যুগ্ম-সম্পাদক প্রার্থী মোঃ পারভেজ আনোয়ার তনু ও খন্দঃ সাদাত-উল আনাম পলাশ এবং কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী মোঃ লিয়াকত আলী খান বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল সরাসরি ভোটের ফলাফলে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদ নামে এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দীর নেতৃত্বাধীন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী মোঃ আমজাদ আলী খাঁন পেয়েছেন ১৫ ভোট। অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে এ্যাড. মোসাদ্দেক আলী মনি ৩৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী খন্দকার ইকবাল মাহমুদ পেয়েছেন ২৫ ভোট। নির্বাহী সদস্য পদে যথাক্রমে মোঃ রাশিদুজ্জামান খান (টুটুল) পেয়েছেন ৫৪ ভোট, আলমগীর কবির হেলাল পেয়েছেন ৫৩ ভোট, কাজী এমদাদুল বাশার রিপন পেয়েছেন ৫৩ ভোট, মোঃ আতাউর রহমান (মিঠু) পেয়েছেন ৫৩ ভোট, খোকন সিরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ৫২ ভোট, স্বপন কুমার সাহা শংকর পেয়েছেন ৫২ ভোট, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৫২ ভোট, মোঃ আনিসুর রহমান আনিস পেয়েছেন ৫১ ভোট, কাইয়ুম নাজার পেয়েছেন ৫০ ভোট, সাব্বির মোঃ কাদেরী সবু পেয়েছেন ৫০ ভোট, শেখ কৌশিক আহমেদ পেয়েছেন ৪৯ ভোট, মীর আয়ুব হোসেন পেয়েছেন ৪৭ ভোট, মোঃ সামসুদ্দিন বিশ্বাস সামু পেয়েছেন ৪৫ ভোট এবং মোঃ হাবিবুর রহমান বাপ্পি পেয়েছেন ৪৩ ভোট। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আফরোজা আক্তার ডিউ পেয়েছেন ৫১ ভোট এবং আল হামরা বেগম পেয়েছেন ৩৫ ভোট। সংরক্ষিত উপজেলা সদস্য পদে আলহাজ্ব মোঃ শামীমুল ইসলাম ছানা পেয়েছেন ৪৫ ভোট এবং মোহাম্মদ আলী নিশান পেয়েছেন ৪৩ ভোট। অপর দিকে পরাজিত মোঃ আমজাদ আলী খাঁনের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের নির্বাহী সদস্য পদে যথাক্রমে মীর সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ ভোট, কাজী মিজানুর রহমান লিটন পেয়েছেন ২৬ ভোট, কাজী সাইদুর রহমান নিশা পেয়েছেন ২৩ ভোট, মোঃ সাইফুল ইসলাম পান্না পেয়েছেন ২১ ভোট এবং মোঃ হাসেম আলী পেয়েছেন ২১ ভোট। সংরক্ষিত উপজেলা সদস্য পদে মোঃ রেজাউর রহমান পেয়েছেন ২৮ ভোট। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মোছাঃ মেহেরুন নেছা বিউটি ৩১ ভোট। এ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ৫৪ ভোট পেয়েছেন মোঃ রাশিদুজ্জামান খান (টুটুল)।
সন্ধ্যা ৬টায় দিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ আসলাম হোসেনের উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা করেন রিটানিং অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ সিরাজুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।