কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার পুরোপুরি বন্ধ হয়নিঃ শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খান
মেঘনা নিউজ ডেস্ক মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৬:৩৬, ৬ মার্চ, ২০১৮
আ,হ,জুবেদঃ মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার। দেশটিতে প্রায় তিন লক্ষ বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন।
তবে গতকাল ৫মার্চ ২০১৮ইং সোমবার দেশটির দৈনিক একাধিক পত্রিকায় এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকে। কারণ, ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, কুয়েতের শ্রমবাজার ফের বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় পত্রিকা গুলোতে প্রকাশিত খবরে এ সংক্রান্ত কিছু নিউজ এসেছে বলে জানিয়েছেন কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খান।
কুয়েতে বাংলাদেশীদের জন্য ফের ভিসা বন্ধ আর এ বিষয়ে শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লতিফ খানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে ভিসা বন্ধ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে, আব্দুল লতিফ খান বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশীদের জন্য ভিসা বন্ধের খবরটি জানার পর আমরা রেসিডেন্সি বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরী একটি মিটিং করেছি।সেসময় আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি যে, উনারা শুধুমাত্র কিছু বিধি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তাও সাময়িক সময়ের জন্য, আর সেটি ২০নম্বার ভিসার ক্ষেত্রে (খাদেম-ভিসা যাকে বলা হয়) বাকি ক্যাটাগরির ভিসা গুলো পূর্বের ন্যায় খুলা আছে।
এদিকে কুয়েত আবারো বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সোমবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ আল জারাহ বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি আদেশ জারি করেছেন, আর এর উদ্ধৃতি দিয়ে কুয়েতের স্থানীয় একাধিক পত্রিকা নিউজও করেছিল।
সেসব পত্রিকা গুলোতে উল্লেখ করা হয়, কুয়েতে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বেড়ে গেছে, ফলে ডেমোগ্রাফিক ইমব্যালান্স হচ্ছে।
অর্থাৎ কোন দেশের নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে গেলে, বিদেশী শ্রমিকদের সংখ্যায় ভারসাম্য আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশ নিয়োগ বন্ধ রাখে।
দ্বিতীয়ত, আইনশৃঙ্খলা এবং কিছু অনিয়মের কথা বলা হয়েছে, বিশেষ করে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে। সেই সাথে মানব পাচারের প্রসঙ্গও এসেছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ শুরু করে কুয়েত; যা ২০০৭ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে কমপক্ষে ৪ লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশি কর্মে যোগ দিয়েছে।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আব্দুল লুতিফ খাঁন টেলিফোনে ভিসা বন্ধের ব্যাপারে কথা বলেছেন।