ঢাকা (সকাল ১১:৩৮) শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

কিশোরগঞ্জে কিস্তি আদায়ে চাপ না দিতে স্পষ্ট নির্দেশনা দিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)

<script>” title=”<script>


<script>

রায়হান জামান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: করোনাকালীন সময়ে ঋণ আদায়ে চাপ না দিতে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। মঙ্গলবার (২৩ জুন) এক জুম মতবিনিময় সভায় জেলার ১৩ উপজেলার সকল উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের সকল উপজেলা সমন্বয়কারীদের তিনি এ নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে জেলার ১৩ উপজেলার সকল উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের সকল উপজেলা সমন্বয়কারীদের সাথে জুম ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। এছাড়া সভায় জেলা বিআরডিবি উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হক মৃধা এবং ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের কিশোরগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী ফাহমিদা আক্তার সংযুক্ত ছিলেন। এই সময় তিনি বিআরডিবি ও ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের সকল কর্মকর্তাদের এই করোনা সংকটকালীন সময়ে সমিতির ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে কোন ধরনের জোর জবরদস্তি না করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা দেন। তিনি প্রকল্পের সকল কর্মকর্তা -কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করা, যথাযথভাবে ঋণ আদায় ও বিতরণ, নতুন সমিতি গঠন, নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তিসহ অন্যান্য ব্যাপারে আলোকপাত করেন। এছাড়া সারা জেলায় যে সকল কর্মকর্তা সমিতি গঠন, ঋণ আদায়-বিতরণ ও সদস্য অন্তভুর্ক্তিতে প্রথম স্থান অর্জন করবে তাদেরকে পুরষ্কৃত করার ঘোষণাও দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসউদ। এখানে উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তার মধ্যে আইআরডিপি তথা বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) অন্যতম।

কিশোরগঞ্জ জেলায় বিআরডিবির দল বা সমিতি রয়েছে ৩৫৫৭ টি, মোট সদস্য সংখ্যা ৫৬,০০০ জন। অন্যদিকে ক্ষুদ্রঋণের জালে আটকে থাকা দরিদ্র মানুষের মুক্তি দিতে নিজস্ব সঞ্চয়ে স্বাবলম্বী করা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাস্তবায়ন আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের ক্ষুদ্র সঞ্চয় মডেল। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল পল্লী অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বাছাই করে ১ লক্ষ গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠনের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে ৬০ লক্ষ দরিদ্র পরিবারকে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের আওতায় আনা। ইতোমধ্যে এ প্রকল্প দেশের ৮ বিভাগ, ৬৪ জেলা, ৪৯০ উপজেলা, ৪৫৫০ টি ইউনিয়নের ৪০,৯৫০ ওয়ার্ডে বাস্তবায়িত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ জেলায় ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্প ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত জেলায় সমিতি গঠন হয়েছে ১৯৫৫ টি, মোট সদস্য রয়েছে ৮৫,৪০৩ জন। প্রকল্পের মোট সঞ্চয়ের পরিমাণ ১৮,৫২,২১,৯৪৭ টাকা, এর মধ্যে ঋণ বিতরণ হয়েছে ৬৫,৭৮,৪৫,৫০০ টাকা ও আদায় হয়েছে ২২,১৬,২২,০০২ টাকা। এ পর্যন্ত জেলায় সমিতির মাধ্যমে ঋণ দেয়া হয়েছে ৫৪,৫৫৮ জনকে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT